রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৪ আগস্ট, ২০২২ ৮:৪৬ : অপরাহ্ণ
‘দেশে গুম বলে কোনো শব্দ নেই। যাদের সন্ধান মিলছে না তাদের অনেকেই আছেন আত্মগোপনে। বন্ধ আছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেটের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব বলেছেন সরকারের একাধিক মন্ত্রী। টাকার বিনিময়ে বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
সরকারের আমন্ত্রণে ৪ দিনের সফরে আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ আসেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট।
দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকে বসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে আব্দুল মোমেন জানান, আমরা বলেছি-গুম বলে আমাদের দেশে কোনো শব্দ নেই। কিছু কিছু লোক নাকি বলেছে যে, ৭৬ জন লোক গত ১০ বছরে নিখোঁজ হয়ে গেছে। তারা বলেছে, সরকার নাকি নিখোঁজ করেছে। ৭৬ জনের মধ্যে আবার ১০ জনকে দেখা যায় পাওয়া গেছে। বাকিগুলো আমরা ঠিক জানি না। পরিবার কোনো তথ্য দেয় না। পরিবারকে বলা হয়, তারা ভয়ে আর কোনো তথ্য দেয় না। আমরা জানি না তারা কোথায় গেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় প্রতি বছর পুলিশ হাজারখানেক লোককে মেরে ফেলে। আমাদের দেশে আগে হতো – ২০০২ বা ২০০৩ বা পরে– এবং ওই সময় হার্টফেল হতো কিন্তু এখন আর হার্টফেল নেই।
আলোচনায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রসঙ্গটি এসেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওদের (জাতিসংঘ) ধারণা বাংলাদেশে টেলিভিশন মিডিয়া এগুলোতে কোনো ফ্রিডম নেই। কেউ নিজের কথা বলতে পারে না। তাদের (গণমাধ্যম) সেন্সর করে। আমি বলেছি, আমার এমন কিছু জানা নেই। আমি তো দেখি আমাদের মিডিয়া ভেরি স্ট্রং। প্রাইভেট টেলিভিশন একটা কথা বললেই ধরে ফেলে।
এরপর আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন সফররত মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, নো এনফোর্সিং এজেন্সির সদস্যদের হিউম্যান রাইটস সম্পর্কে ট্রেনিং দেয়ার ব্যাপারে কথা হয়েছে। তখন আমি বলেছি আপনারা একটা প্রস্তাব পাঠান আমরা অবশ্যই সে প্রস্তাব দেখবো। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানবাধিকারকে সাংঘাতিক মূল্য দেয়।
সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন মিশেল ব্যাচলেট। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী দাবি করেন সব গুমের ঘটনা সত্য নয়, গুম হওয়াদের অধিকাংশই আছেন আত্মগোপনে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, বিচার থেকে বাঁচার জন্যই তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সেটার একটা নমুনা আমরা তাকে দিয়েছি। পাওনাদার বেড়ে গেলে তাদের থেকে বাঁচার জন্যই তারাও গায়েব হয়ে যায়। আমাদের বর্ডারের ফাঁক ফোকর দিয়ে এরা বিভিন্ন দেশে চলে গিয়েছে।
সফরের শেষ দিন ১৭ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে নিজের বক্তব্য তুলের ধরবেন মিশেল ব্যাচলেট।