রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৪ আগস্ট, ২০২২ ৭:০৬ : অপরাহ্ণ
‘বেহেশতে’ থাকা নিয়ে বক্তব্যের দেশেজুড়ে ঝড়ো সমালোচনায় বেশ বিব্রত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। অবশেষে সমালোচনার জবাবে হতাশাই প্রকাশ করলেন তিনি।
আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি কথার কথা বলেছেন। সেটা নিয়ে সাংবাদিকেরা তাকে বিপাকে ফেলেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায়, ‘আমি তো ট্রু সেন্সে বেহেশত বলিনি। আমরা অনেকের চেয়ে ভালো আছি। বলতে পারেন বেহেশতে আছি। কথার কথা। আর যায় কোথায়! সবাই আমারে এক্কেরে…। আপনারা সবাই আমারে খায়া ফেললেন। এই হলো বাংলাদেশের মিডিয়ার স্বাধীনতা খর্ব।’
আজ রোববার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশলেতের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ‘বেহেশত’ প্রসঙ্গে একথা বলেন তিনি।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমি কি মিডিয়ার স্বাধীনতা খর্ব করেছি? আফটার অল আই অ্যাম আ পাবলিক ফিগার। নিশ্চয়ই আপনারা আমাকে ক্রিটিসাইজ করতে পারেন। আই ডোন্ট মাইন্ড। তবে আগামীতে সাবধান হতে হবে। আমি খোলামেলা মানুষ। আমি শিক্ষক মানুষ। আমি যেটা মনে করি, সেটা খোলামেলা বলে ফেলি।’
গত শুক্রবার সিলেটে সাংবাদিকদের কাছে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থা নিয়ে কথা বলেন আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে, একটি পক্ষ থেকে এমন প্যানিক ছড়ানো হচ্ছে। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা বেহেশতে আছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সমালোচনা হয় ব্যাপক। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সমালোচনার পর কেন বেহেশত বলেছেন, তা নিয়ে গতকাল শনিবার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। তবে তাতেও সমালোচনা থামেনি।
আবার রাজনীতির ময়দানেও কথাটি সাড়া ফেলেছে ব্যাপক।
শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশের মানুষ যখন প্রতি মুহূর্তে কষ্ট করছে, হিমশিম খাচ্ছে এবং তাদের জীবন দুর্বিষহ হচ্ছে, সেই সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন যে মানুষ বেহেশতে আছে। এর মধ্য দিয়ে জনগণের সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে।’