রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা ক্যাম্পাস রাজনীতি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের অবরোধ


চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে ‘প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পদবঞ্চিত কর্মীদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :১ আগস্ট, ২০২২ ১১:০১ : পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর ক্যাম্পাসে অবরোধের ডাক দিয়েছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। ঘোষিত কমিটিতে পদবাণিজ্য ও অছাত্রদের রাখার অভিযোগে এনে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তারা।

পদবঞ্চিতদের ক্যাম্পাস অবরোধের ফলে বাস ও শার্টল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগ উঠেছে, শাটলের ড্রাইভারকে অপহরণ করেছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রুটে চলাচলকারী ১৩১ নম্বর শাটল ট্রেনের দায়িত্বরত চালক (লোকোমাস্টার), তার সহকারী ও গার্ডকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।

তবে পদবঞ্চিতরা বলছেন, শাটলের ড্রাইভারকে তারা অপহরণ করেননি। ড্রাইভার নিজে থেকেই চলে গেছেন।

দীর্ঘ তিন বছর পর রোববার রাত সাড়ে ১২টায় কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই ক্যাম্পাসজুড়ে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়।

রোববার রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রধান ফটকের সামনে আগুন জ্বালিয়ে এ বিক্ষোভ চলে।

নেতা-কর্মীরা জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের এই দাবি আদায় না হবে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের এই অবরোধ চলবে।

অবরোধকারী ও পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে অছাত্র, ইয়াবা ব্যবসায়ী ও জামাত-শিবিরের সহযোগীরা স্থান পেয়েছে। অথচ সাত বছর ধরে আমরা যারা শেখ হাসিনার জন্য কাজ করে যাচ্ছি তাদের নাম নেই। তাই আমরা অবরোধ করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের একটা অংশ যারা পদ পায়নি তারা অবরোধ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ও শিক্ষক বাস আসতে দিচ্ছে না তারা। শাটলের ড্রাইভারকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে ঝাউতলা থেকে। যেহেতু এটা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিষয় আমরা বলতে পারছি না অবরোধ কখন শেষ হবে। তবে আমরা ওদের সাথে কথা বলছি।’

জানা গেছে, ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে ক্ষুবদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপ সোহরাওয়ার্দী হলের বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করে, পদপ্রাপ্ত সাহিল কবির নামে একজন নেতাকে মারধর করে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ৬৯ জন সহ-সভাপতি, ১১ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক রাখা হয়েছে।সব মিলিয়ে ছাত্রলীগের ৩৭৫ জন সদস্যকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি ও ইকবাল হোসেন টিপুকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর