রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩১ জুলাই, ২০২২ ৮:২৬ : অপরাহ্ণ
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ৫ উইকেট ও লিটন দাসের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ হাফসেঞ্চুরিতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরলো বাংলাদেশ।
গতকাল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৭ রানে পরাজিত হয় লাল-সবুজের দল। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিংয়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়ে জিম্বাবুয়েকে ৭ উইকেটে পরাজিত করেছে।
আজ রোববার হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মোসাদ্দেকের ঘূর্ণিতে সুবিধা করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে থেমে যায় জিম্বাবুয়ে। জবাবে ১৫ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
১৩৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই জিম্বাবুইয়ান বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলতে শুরু করেন লিটন দাস ও মুনিম শাহরিয়ার।
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ব্যর্থতার খাতায় নাম তোলেন মুনিম। ৮ বলে ৭ রান করে ফেরেন। তাকে ফেরান রিচার্ড এনগারাভা। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া মুনিম নিজের নামের প্রতি করতে পারছেন না সুবিচার।
মুনিমের বিদায়ের পরও বাংলাদেশের রানের গতি স্লথ হয়নি। নিজের মতো করেই ব্যাট চালিয়েছিলেন লিটন দাস। আর তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন এনামুল হক বিজয়। স্বাগতিক বোলারদের উপর চড়াও হয়ে ৩৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন লিটন।
আর বিজয় ফেরেন ১৫ বলে ১৬ রান করে। লিটন ফেরার আগে এই জুটিতে এসেছিল ৪১ রান।
৮১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের হয় পেতে অবশ্য খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। লিটন-বিজয়ের পর দলকে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করান নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৫৫ রান।
দলকে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে শান্ত ১৯ রানে ও আফিফ ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন রিচার্ড এনগারাভা, শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজা।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
বাংলাদেশি স্পিনারের করা অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে সজোরে মারতে গিয়ে উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে দেন চাকাভা। শূন্যতে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
ওই ওভারের শেষ বলে ফের আঘাত হানেন মোসাদ্দেক। এবার ফিরিয়ে দেন গেল ম্যাচ জিম্বাবুয়ের জয়ের নায়ক ওয়েসলি মাধাভেরেকে। এটিও সাদামাটা ডেলিভারি ছিল। অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ ডেলিভারি জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে কাভারে মেহেদী হাসানের হাতে ক্যাচ দেন মাধাভেরে।
৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মাধাভেরে করেন ৪ রান। নিজের পরের ওভারে ফের উইকেটের দেখা পান মোসাদ্দেক। এবার শিকার বানান ক্রেইগ আরভীনকে। সৈকতের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ১ রানেই বিদায় নেন স্বাগতিক অধিনায়ক।
প্রথম স্পেলে ৩ উইকেট নেওয়া সৈকত পরের স্পেলে দুই উইকেট নিয়ে পূরণ করেন ফাইফার। নিজের চতুর্থ শিকার বানান শন উইলিয়ামসকে আর পঞ্চম শিকার বানান মিল্টন শুম্বাকে। প্রথমবার ৫ উইকেট নেওয়ার উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন মোসাদ্দেক। সেই সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
তবে মোসাদ্দেকের বোলিং কোটা শেষ হলে প্রতিরোধ গড়েন সিকান্দার রাজা। বাকি সময় লড়াই করে জিম্বাবুয়েকে ১৩৫রানের পুঁজি এনে দেন সিকান্দার রাজা। গত ম্যাচেও জিম্বাবুয়ের হয়ে দারুণ ব্যাট করেন তিনি। আজও বিপদে পড়া জিম্বাবুয়েকে বাঁচাতে লড়াই করেন রাজা।
মোসাদ্দেক ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে উইকেটের দেখা পেয়েছেন হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। দুজনের পেয়েছেন সমান একটি করে উইকেট।