শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৯ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

আমরা বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে চাই, আ.লীগকে সিইসি


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩১ জুলাই, ২০২২ ৯:১১ : অপরাহ্ণ
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে সংলাপে আওয়ামী লীগ। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অতিমাত্রায় সমালোচনা ও তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সমালোচনাও তীব্র ও তিক্ত। আমরা নিরপেক্ষ থেকে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে সমালোচনা ও বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে চাই।’

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ছিলেন আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপপু, ড. হাছান মাহমুদ, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ড. সেলিম মাহমুদ, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও বেগম শামসুন নাহার।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা কমিশনের সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ব। একইভাবে কমিশনকে সহায়তা করা সরকারের সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ব। আমরা সে দায়বদ্ধতা থেকেই সংলাপের আয়োজন করেছি। ১৯৭০ থেকে আমরা নির্বাচন দেখে এসেছি। ১৯৫৪ সালের নির্বাচন আমরা জানি। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন এক অর্থে সাম্প্রতিক।’

সিইসি বলেন, ‘আমরা প্রায় চার-পাঁচ পর্বে সংলাপের আয়োজন করেছিলাম। সুধীজনরা তাদের মতামত উপস্থাপন করেছেন। নির্বাচনে অর্থশক্তি, পেশিশক্তির প্রভাব, সহিংসতা, ভোট কারচুপি, কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই করে বাক্স ভরা, ভোটকেন্দ্রে বাধা প্রদান, আমলাতন্ত্রের পক্ষপাতিত্ব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা, নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততা নিয়ে মতামত উঠে এসেছে। আমরা মতামতকে পর্যালোচনা করে পরবর্তী সময়ে অবহিত করেছি।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করতে চেষ্টা আন্তরিকভাবে করে যাবে। এই সংলাপ বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে। আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে বড় দল। বড় দলের কাছে প্রত্যাশাও বেশি থাকে। পরপর তিনবার সরকারে অধিষ্ঠিত। এজন্য সাধারণ জনগণ আওয়ামী লীগকে সরকারি দল বা ক্ষমতাসীন দল বলে থাকে। কিন্তু, সংবিধানে সরকারি দল বা ক্ষমতাসীন দল বলে কোনো কথা নেই।’

সিইসি বলেন, ‘আমি যদি ভুল বুঝে না থাকি, আওয়ামী লীগ আর দশটি দলের মতোই একটি রাজনৈতিক দল। সরকার একটি সাংবিধানিক রাষ্ট্রীয় সংগঠন। এটি অবস্থানের একটি দ্বিমাত্রিকতা। কমিশনের ইচ্ছা, সদিচ্ছা ও অনুভূতি, সরকার এবং আপনার দলের সবাইকে অবহিত করে বাধিত করবেন।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের নিশ্চয়তাসম্পন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংবিধানের প্রতি অনুগত থেকে আইন ও বিধি-বিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করবে। আমরা আশা করি, সবাই কমিশনকে সহায়তা করবে এবং দলগুলোর দায়িত্বশীল আচরণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সফলতা কামনা করছি।’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর