রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

চট্টগ্রাম নগর যুবলীগ: সভাপতি হচ্ছেন দিদার! সম্পাদক পদে আলোচনায় দুজন



বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশের সময় :২২ জুলাই, ২০২২ ৬:৫১ : অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আসন্ন কমিটির সভাপতি পদে ৩৩ জন প্রার্থী থাকলেও সবাইকে ছাপিয়ে নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে আছেন দিদারুল আলম দিদার। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নানের সন্তান।

সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন সাবেক দুই ছাত্রলীগ নেতা। এরা হলেন-দেবাশীষ পাল দেবু ও এম আর আজিম।

দীর্ঘ ১৯ বছর পর গত ৩০ মে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলার ধারাবাহিকতায় মহানগরের কাউন্সিল অধিবেশনেও নেতৃত্ব নির্বাচন হয়নি। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের ভার কেন্দ্রের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন কাউন্সিলররা।

কেন্দ্র থেকে যদি চলতি জুলাই মাসে কমিটি ঘোষণা নয় হয় তাহলে একমাস পিছিয়ে যাবে। কারণ শোকের মাস আগস্টে আওয়ামী লীগের নিয়মিত দলীয় কার্যক্রম স্থগিত থাকে।

নগর যুবলীগের আসন্ন কমিটির জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১১৪ জন প্রার্থী কেন্দ্রে বায়োডাটা জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্মেলনের কাউন্সিলর অধিবেশনে ১৬ জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। এখন সভাপতি পদে ৩৩ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৬৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের নতুন কমিটির সভাপতি-সম্পাদকের প্রার্থী সংখ্যা হচ্ছে ৩৫ জন। উত্তর জেলায় হচ্ছে ২৯ জন। আর মহানগরে হলো ৯৮ জন। অর্থাৎ উত্তর ও দক্ষিণ জেলার তুলনায় মহানগরের প্রার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেশি।

যুবলীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজনীতি সংবাদকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদক পদে অনেক  ভূঁইফোড় নেতা প্রার্থী হয়েছেন। তারা ওয়ার্ড-ইউনিটে কোনোদিন যুবলীগ, ছাত্রলীগের রাজনীতি করেননি। এসব ভূঁইফোড় নেতারা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও স্থান পাবেন না। আবার যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অনেক তরুণ নেতাও প্রার্থী হয়েছেন। তারা হয়তো মনে করছে, সভাপতি-সম্পাদক পদে প্রার্থী হলে অন্তত সম্পাদক মণ্ডলীর কোনো পদ পাওয়া যাবে।

সভাপতি পদের লড়াইয়ে যে কারণে এগিয়ে দিদার

যুবলীগের কেন্দ্রীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলার মতো মহানগরেও সভাপতি-সম্পাদক পদে নতুন-পুরাতনের সমীকরণ হবে। তিন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে পুরনো মুখ আসবে।

নগর যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন ৫১ বছর বয়সী দিদারুল আলম দিদার। কমিটির অপর যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল হক সুমনও সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন।

কিন্তু দিদার কেবল পুরনো মুখ হিসেবে নয়, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি-এই তিন কারণে তিনি সভাপতি পদে অন্য প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে আছেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনী নামে পরিচিত বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ) এর পূর্বাঞ্চলীয় সেক্টর প্রধান ছিলেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি। তখন বিএলএফের পূর্বাঞ্চলীয় উপ-অধিনায়ক ছিলেন এম এ মান্নান।

শেখ ফজলুল হক মনি ও এম এ মান্নানের মধ্যে তখন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে প্রয়াত এম এ মান্নানের ছেলে দিদারের প্রতি শেখ ফজলুল হক মনির সন্তান যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সহানুভূতি রয়েছে বলে জানা গেছে।

বিষয়টি স্বীকার করে দিদারুল আলম দিদার রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘আমার বাবা শেখ ফজলুল হক মনির সহযোদ্ধা ছিলেন। সেই হিসাবে শেখ ফজলুল হক মনির সন্তান যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ পরশ সাহেবের আমার প্রতি সহানুভূতি থাকতেই পারে। কিন্তু আমার যদি কোনো যোগ্যতা না থাকে উনি (যুবলীগের চেয়ারম্যান) তো আমাকে বিবেচনায় রাখবেন না। পিতৃপরিচয় নয়, সংগঠনকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতাই সর্বোচ্চ বিবেচনায় নেবে কেন্দ্র।’

উল্লেখ্য, এম এ মান্নান ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তাকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী করা হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যও হন তিনি।

দিদার শুধু পিতৃপরিচয়ের কারণে এগিয়ে নয়, তার আরেকটা পুঁজি হলো পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি।

দলীয় একটি সূত্র বলেছে, দিদারের বিরুদ্ধে কোনো অপকর্মের রেকর্ড খুঁজে পায়নি যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, একদিকে এম এ মান্নানের সন্তান, অন্যদিকে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি-এই দুই কারণে দিদারের প্রতি যুবলীগ কেন্দ্রীয় নেতাদের সহানুভূতি রয়েছে। যে কারণে সভাপতি পদে আলোচনায় দিদারুল আলমের নাম এক নম্বরে রয়েছে।

যদি কোনো নাটকীয়তা না ঘটে তাহলে দিদারই চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সভাপতি হতে যাচ্ছেন বলে সূত্রগুলো আভাস দিয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক পদে যে কারণে আলোচনায় দেবু-আজিম

নগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ৬৫ জন প্রার্থীর মধ্যে শেষ মুহূর্তে কেন্দ্রে আলোচনায় আছেন একসময়ের তুখোড় দুই ছাত্রলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু ও এম আর আজিম।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম প্রার্থী হয়েছেন সভাপতি পদে। কিন্তু সভাপতি পদে দিদারুল আলম এগিয়ে থাকায় এম আর আজিমের নাম আলোচনা হচ্ছে সাধারণ সম্পাদক পদে।

এতে দেবাশীষ পাল দেবুর সামনে বাধার পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছেন এম আর আজিম।

এই দুই ছাত্রনেতা চট্টগ্রাম নগরীর রাজনৈতিক অঙ্গনে অতিপরিচিত মুখ। দুজনই রাজনীতিতে সমসাময়িক।

৪৬ বছর বয়সী দেবাশীষ পাল দেবু সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ছাত্রসংসদের সাবেক জিএস ছিলেন। আর ৪৮ বছর বয়সী এম আর আজিম দীর্ঘ ১০ বছর নগর ছাত্রলীগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

তবে এম আর আজিম খ্যাতি অর্জন করেছেন দলের দুঃসময়ে নগর ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়ে। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকার সময় বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে প্রথম সারিতে নেতৃত্ব দিয়ে সাহসী ও ত্যাগী সংগঠক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন তিনি।

তবে দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ২০১৩ সালে নগর ছাত্রলীগের নেতৃত্ব ছাড়ার পর এম আর আজিম রাজনীতির মাঠে অনেকটা নিস্ক্রিয় ছিলেন। যুবলীগের সম্মেলনের আগে তিনি রাজনীতির মাঠে তৎপর হয়ে উঠেন।

জানতে চাইলে এম আর আজিম রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘আমি তো রাজপথের নেতা। দলের দুঃসময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছি। যখন কমিটির জন্য নেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ছিল না। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব ছাড়ার পর আমি কখনো রাজপথ ছাড়িনি। দলের প্রতিটা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি।’

অপরদিকে যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু গত পাঁচ বছর ধরে নগরীর রাজনীতির মাঠে এককভাবে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। তবে তিনি নগর যুবলীগের মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকলেও তার রয়েছে বিশাল কর্মী-বাহিনী। দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে নগরীর পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে হাজারো কর্মী নিয়ে তার শোডাউন সবার নজর কাড়ে।

কেন্দ্রেও শক্ত অবস্থান রয়েছে দেবাশীষ পাল দেবুর। যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য থাকাকালে তিনি ঢাকায় সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। তিনি দুই বছর আগে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনিকে নিয়ে একটি বইও লিখেন। ‘শেখ ফজলুল হক মনি ও যুবলীগ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস’ নামে লেখা তার বইটি যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নজর কেড়েছে।

জানতে চাইলে দেবাশীষ পাল দেবু রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘রাজনীতিতে মূলধারা বলতে কিছু নেই। একজন রাজনৈতিক কর্মী সংগঠনের জন্য যেকোনো পর্যায়ে কাজ করতে পারে। মাঠে কাউকে না কাউকে তো থাকতে হবে। আমি গত ৫ বছর ধরে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় আছি।’

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘শেখ ফজলুল হক মনি ও যুবলীগ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস’ নামে লেখা বইটি লিখতে আমার এক বছর সময় লেগেছে। সংগঠনের তরুণ কর্মীরা বইটি পড়ে যুবলীগ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে।’’

সাধারণ সম্পাদক পদে এই দুই নেতার মধ্যে সমীকরণ মেলানো কঠিন হবে বলে মনে করছেন যুবলীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা।

নেতৃত্ব নিয়ে নতুন মেরুকরণের সম্ভাবনা

চট্টগ্রাম নগরীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে দুটি ধারায় (আ জ ম নাছির উদ্দীন-মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল) বিভক্ত। কিন্তু নগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে এগিয়ে থাকা তিন প্রার্থীর মধ্যে দুজনই হলেন দুই ধারার বাইরের। ফলে নগর যুবলীগের নেতৃত্ব নিয়ে নতুন মেরুকরণ হতে পারে।

সভাপতি পদে আলোচনায় থাকা দিদারুল আলম দিদার সাবেক মন্ত্রী ও নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. আফছারুল আমীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিতি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দিদারুল আলম দিদার রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘ডা. আফছারুল আমীন আমার আব্বার শিষ্য। তাই উনার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি একজন ত্যাগী ও আদর্শবান নেতা। আমার অত্যন্ত একজন শ্রদ্ধাভাজন নেতা। তিনি আমাকে অসম্ভব স্নেহ করেন।’

সাধারণ সম্পাদক পদে এগিয়ে থাকা দেবাশীষ পাল দেবু বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। কিন্তু সিটি মেয়র রেজউল করিম চৌধুরীর সঙ্গেও তার সখ্যতা রয়েছে। সম্প্রতি দেবুর বিভিন্ন কর্মসূচিতে মেয়র রেজউল করিম উপস্থিত ছিলেন।

দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, দেবাশীষ পাল দেবুর জন্য মেয়র রেজউল করিম যুবলীগের কেন্দ্রে সুপারিশ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেবাশীষ পাল দেবু রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘লতিফ সাহেব যেহেতু আমার এলাকার এমপি, তাই উনার সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকাটা স্বাভাবিক। আর মেয়র রেজাউল করিমের সঙ্গে গত দুই বছর ধরে আমার সম্পর্ক। দুই বছর আগে করোনাকালীন সময়ে বন্দর এলাকায় আমার একটি কর্মসূচিতে তিনি এসেছিলেন। আমার মানবিক কর্মকাণ্ড দেখে তিনি সেদিন খুশি হয়েছিলেন। এরপর থেকে তার সঙ্গে আমার সখ্যতা গড়ে উঠে।’

সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় থাকা অপর প্রার্থী এম আর আজিম হলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।

জানতে চাইলে এম আর আজিম রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘আমি আস্থা রাখছি কেবল যুবলীগের চেয়ারম্যান-সেক্রেটারির ওপর। তবে আমি মনে করি, নগর আওয়ামী লীগের ধারা আছে একটি। সেটি হলো এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মূলধারা। আমি তার সঙ্গে রাজনীতি করেছি।’

সভাপতি পদে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের প্রার্থী হলেন দিদারুল আলম (স্টিয়ারিং)। কিন্তু তিনি কেন্দ্রে খুব একটা আলোচনায় নেই বলে জানা গেছে।

নগর আওয়ামী লীগের দুই ধারার বাইরের যুবলীগ প্রার্থীরা বলছেন, নগর যুবলীগের নতুন কমিটির মাধ্যমে গ্রুপিং রাজনীতির অবসান হোক আর একটা নতুন ধারার সৃষ্টি হোক।

সভাপতি প্রার্থী দিদারুল আলম দিদার বলেন, ‘নেতা-কর্মীরা সবাই দুই ধারার মধ্যে নেই। আর দুই ধারা থেকে নেতৃত্ব নির্বাচন বাধ্যতামূলকও নয়। এতে গ্রুপিং রাজনীতিকে আরও উস্কে দেওয়া হয়। যিনি নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা রাখে, তিনি যে ধারারই হোক না কেন, তাকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করি।’

যুবলীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, শেখ ফজলে শামস পরশের ‘মানবিক যুবলীগে’ গ্রুপিং রাজনীতির স্থান হবে না। চট্টগ্রামের তিন সাংগঠনিক জেলায় নতুন কমিটির মাধ্যমে নতুন ধারার রাজনীতির সূচনা হতে পারে।

আরও পড়ুন:

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগ: সভাপতি-সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যারা

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ: সভাপতি-সম্পাদক পদে আলোচনায় ৫ নাম

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর