রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৪ জুলাই, ২০২২ ১:৪৯ : অপরাহ্ণ
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে স্ত্রী এবং দুই নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে মালদ্বীপ ছেড়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বিমানে করে মালদ্বীপ ত্যাগ করেন তিনি।
শ্রীলঙ্কান সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর অনলাইন জানিয়েছে, সৌদি এয়ারলাইনসের একটি বিমানে করে তিনি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে মালদ্বীপ ছাড়েন।
এর আগে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তকর্মীরা তাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিমানে তুলে দেয়।
গতকাল বুধবার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে গোতাবায়ার পদত্যাগের কথা থাকলেও এখনো তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি। ধারণা করা হচ্ছে, সিঙ্গাপুর পৌঁছার পর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।
গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে গণরোষের মুখে পড়ে সামরিক একটি বিমানে তিনি মালদ্বীপে পালিয়ে যান। এর আগে তিনি গত সোমবারও আকাশ ও সমুদ্র পথে দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন তাকে দেশ ছাড়তে দেওয়া হয়নি। মালদ্বীপে পৌঁছালে সেখানেও প্রবাসী শ্রীলঙ্কান এবং স্থানীয়রা তাকে আশ্রয় দেওয়ায় বিক্ষোভ করে।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া পদত্যাগ না করে পালানোর পর দেশটির সার্বিক পরিস্থিতি আবার জটিল হয়ে উঠেছে।
শ্রীলংকার বিক্ষোভকারীরা জরুরি অবস্থা ভেঙ্গে, পুলিশের জলকামান, কাঁদুনে গ্যাস উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে।
টেলিভিশন প্রচারিত এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনঃস্থাপনে তিনি সেনাবাহিনা ও পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দমনে ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
গোতাবায়া রাজাপাকসে পালানোর সময় প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের কাছে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়ে যান। তবে তিনি পদত্যাগ করেননি।
সে দেশের পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনের এই ঘোষণা দেয়ায় বিক্ষুদ্ধ জনগণ কারফিউ উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে এবং রনিল বিক্রমাসিংহেরও পদত্যাগে দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মুখে তাদের দু’জনকেই পদত্যাগ করতে হবে। বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি জানায়।
গোতাবায়া দেশ ছেড়ে পালানোর পর বুধবার সর্বদলীয় বৈঠকে সে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহকে পদত্যাগ করে স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপের কাছে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার আহবান জানান।