রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৩ জুলাই, ২০২২ ৬:০১ : পূর্বাহ্ণ
পদত্যাগপত্রে সই করেই দেশ ছেড়ে পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। মঙ্গলবার গভীর রাতে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে করে তিনি প্রতিবেশী মালদ্বীপে পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা।
শ্রীলঙ্কার সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
শ্রীলঙ্কার এক সরকারি কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে অ্যান্তোনভ-৩২ বিমানে করে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া তার স্ত্রী ও এক দেহরক্ষীকে নিয়ে বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালদ্বীপের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
জানা যায়, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া জানিয়েছেন, তাকে নিরাপদে দেশ ছাড়ার ব্যবস্থা করে দিলে তবেই তিনি পদত্যাগ করবেন। এই বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠকও করেন পার্লামেন্টের স্পিকার। বিরোধীরা তার এই দাবি মানতে রাজি হননি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে সস্ত্রীক দেশ ছাড়লেন ৭৩ বছর বয়সী গোতাবায়া।
এর আগে বিমানব্ন্দরে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের বাধার মুখে আকাশপথে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পর সমুদ্রপথে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন গোতাবায়া।
বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা গোতাবায়ার পাসপোর্টে সিল মারতে রাজি না হওয়ায় মঙ্গলবার এই দ্বীপ দেশটি থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য নৌবাহিনীর টহল নৌযান ব্যবহারের চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
গেলো শনিবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী কলম্বোর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলে নেওয়ার আগ মুহূর্তে সেখান থেকে পালিয়ে যান গোতাবায়া। পরে তিনি দুবাইয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে বুধবার পদত্যাগের প্রতিশ্রুতি দেন। এর আগে তিনি সোমবার পদত্যাগপত্রে সই করেন।
শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগপত্রটি এক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেটি পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আগামীকাল বুধবার গোতাতাবায়ার পদত্যাগের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন স্পিকার।
শ্রীলঙ্কার কোনো আইনেই ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের বিধান নেই। তবে পদত্যাগের পর গ্রেপ্তারের হাত থেকে বাঁচতে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া বিদেশে চলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।