শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আওয়ামী লীগ

ওবায়দুল কাদেরের বিশ্বাস, বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে


আজ নির্বাচন ভবনে ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৮ জুন, ২০২২ ৫:৪৫ : অপরাহ্ণ

বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে বলে বিশ্বাস করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইভিএম বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বের আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ইসিতে এসে পৌঁছায়।

ইসির সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট অংশ নেয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আগেও বলেছি- আমার বিশ্বাস যে, বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে। আমরাও চাই বিএনপি আসুক। আমরাও চাই একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ইলেকশন। সে কারণে বিএনপির মত একটা বড় দল বাইরে থাকবে এটা আমরা চাই না। আমরা চাই তারা আসুক।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) অনেক কথাই বলে, শেষ পর্যন্ত আসল কথায় চলে আসে। আমি একটা কথা বলি, নির্বাচন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ এটা বিএনপির অধিকার। সরকারের সুযোগ বিতরণ না। এটা একটা সুযোগ নয় যে, সরকার বিতরণ করবে। এটা হচ্ছে বিএনপির অধিকার। দল হিসেবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনে তারা আসবে। আমরা এটাই বিশ্বাস করি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দল হিসেবে আমরা বলেই যাচ্ছি। আমরা পদ্মা সেতুতেও দাওয়াত দিয়েছি। দেখেন আমাদের একটা পজিটিভ এটিচিউড আছে। সে কারণে আমরা তাই করি। তারা (বিএনপি) নিজেরাই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবে। হয়তো শেষ বেলায়। ঘোলা করে খাবে আর কি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখেন একটা কথা সবাই বলে, সরকারের অধীনে। আমি অবাক হয়ে শুনি ফখরুল সাহেব বলেন এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। ইলেকশন তো এই সরকারের অধীনে হবে না। ইলেকশন হবে ইলেকশন কমিশনের অধীনে। সরকার একটা কর্তৃত্বপূর্ণ স্বাধীন ভূমিকা ফর ক্রেডিবল, ফেয়ার অ্যান্ড ফ্রি ইলেকশন। যে যে সহযোগীতা, ফ্যাসিলিটিজ দরকার, সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস আমরা আগেও দিয়েছি, এখনো আমরা নির্বাচন কমিশনকে আশ্বাস দিয়েছি। আমরা সব ধরণের সহযোগিতা করবো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএমের পরিসর আরও বাড়ানোর পক্ষে আওয়ামী লীগ। আমরা মনে করি, দেশে ইভিএম পদ্ধতি অধিকতর জনপ্রিয় এবং সহজে ব্যবহার করার লক্ষ্যে ইসি এখন থেকেই প্রচার প্রচারণায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। আমাদের বক্তব্য লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার। আগেও আমরা ইসিকে এসে বলেছিলাম। এখানে রাখঢাক করার কিছু নেই। আগামী নির্বাচনে উল্লেখযোগ্যহারে ইভিএম বৃদ্ধি করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটা কথা কেউ কেউ বলে থাকে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। বর্তমান সরকারের অধীনে কিন্তু নির্বাচন হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। যে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য বর্তমান সরকার ফ্যাসিলেটেড করবে, সম্পূর্ণ সহযোগিতা আমরা দেবো। এসময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ যেসব বিষয় নির্বাচন রিলেটেড সেগুলো আপনাদের অধীনেই থাকবে। এখানে সরকারের কিছু করণীয় নেই। সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করতে মোটেও আগ্রহী নয়।

ইতোমধ্যে দুই ধাপে ২৬টি দলকে সংলাপে ডেকেছিল ইসি। তার মধ্যে তখন বিএনপিসহ আটটি দল সংলাপে অংশ নেয়নি।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে যন্ত্রটি প্রদর্শন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও কারিগরি বিষয়ে প্রশ্নোত্তর, মত বিনিময়ের জন্য এই ব্যবস্থা নিচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এর মধ্যে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও ইভিএম নিয়ে মত বিনিময় করেছে কমিশন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর