শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা বিনোদন

পরীমনির জন্য কী শাস্তি অপেক্ষা করছে


চিত্রনায়িকা পরীমনি

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২১ জুন, ২০২২ ২:৩১ : অপরাহ্ণ

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত ও রহস্যময়ী নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে চলছে মাদক মামলা। এক বছর আগে হওয়া এই মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন সন্তানসম্ভবা এই নায়িকা।

মা হতে চলায় গত ২ জুন পরীমনির স্বাস্থ্যগত বিষয়টি বিবেচনা করে ফৌজদারি কার্যবিধি মোতাবেক তাকে মাদক মামলার হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের যে ধারায় পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই নায়িকার কারাদণ্ড হতে পারে সর্বোচ্চ ৫ বছর। একইসঙ্গে হতে পারে অর্থদণ্ডও।

পরীমনির মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান বলেন, ‘পরীমনির বিরুদ্ধে একজন র‌্যাব কর্মকর্তা সাক্ষী দিয়েছেন। ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি পেলেও তাকে বিচার মোকাবিলা করতেই হবে। পরীমনির বিরুদ্ধে যে ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।’

পরীমনির মাদকের মামলাটি রয়েছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের কোর্টে। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু।

অবৈধভাবে মাদক রাখার পাশাপাশি পরীমনির বিরুদ্ধে গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাব এবং বনানী ক্লাবে অনধিকার প্রবেশ করে ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছিল। সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে ওই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

গত বছরের ৪ আগস্ট বিকালে বনানীর ১২ নম্বর রোডে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এসময় সেখান থেকে ১৯টি বোতলে ১৮.৫ লিটার বিদেশি মদ, চার গ্রাম আইস, এক স্লট এলএসডি নামক মাদক জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় পরীমনিকে।

পরের দিন র‌্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় ঠুকে দেয় মামলা। সেই মামলায় তিন দফা রিমান্ড শেষে অভিনেত্রীকে কারাগারে পাঠায় আদালত। তার আগে একাধিক বার আবেদন করেও জামিন পাননি পরীমনি।

শেষমেশ হাইকোর্টের দারস্থ হন নায়িকার দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ও রিফাত সুরভী। এরপর হাইকোর্ট পরীমনির জামিন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। সেই মতো গত ৩১ আগস্ট অভিনেত্রীকে জামিন দেয় ঢাকার দায়রা জজ আদালত। পরদিন পরীমনি ছাড়া পান কাশিমপুর কারাগার থেকে।

এই মামলায় চলতি বছরের গত ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ১ জুন শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।

মামলার বাদী র‌্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান মামলায় প্রথম সাক্ষী দেন। পরীমনির অনুপস্থিতিতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে গত বছরের ৪ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।

চার্জশিটে বলা হয়, পরীমনির বাসা থেকে জব্দ হওয়া মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। তদন্তকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর লিখিতভাবে জানায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামীয় মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়। যা ২০২০ সালের ৩০ জুন মেয়াদ শেষ হয়েছে।

অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহের বিষয়ে বলা হয়, পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে জব্দকৃত মাদকদ্রব্য মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন।

মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে পরীমনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। এখন এই মামলার শেষ পরিণতি কী হয়, পরীমনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে অব্যাহতি পান নাকি তাকে পড়তে হবে বড় কোনো শাস্তির মুখে, সেটা দেখার অপেক্ষা।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর