নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১২ জুন, ২০২২ ২:১৯ : অপরাহ্ণ
নির্বাচনে সেনাবাহিনী কোনো কাজে আসে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় মাঠে সেনাবাহিনী নামানোর একেবারেই দরকার নেই। কারণ বিগত নির্বাচনে তাদের এক্টিভিটিস আমরা দেখেছি। নির্বাচন পরিচালনার কোনও কাজে তারা আসে বলে আমার মনে হয় না।’
আজ রোববার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা করেন।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবদের সঙ্গে এই মতবিনিময় আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।
নূরুল হুদা হুদা বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে যে পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন হয় এটা বিশ্বে বিরল। মনে হয়, পৃথিবীতে কোথাও নাই। শত-শত, হাজার-হাজার লোক বন্দুক হাতে যুদ্ধাবস্থার মতো দাঁড়িয়ে থাকে। আমি দায়িত্বে থাকতেও বলেছি, এখনও বলেছি যে এসবের প্রয়োজন নাই।’
সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনের ৭৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে। আমার যখন স্কুলে ছিলাম তখন দেখতাম একজন চৌকিদার বাঁশি মুখে আর হাতে লাঠি নিয়ে একটা কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করতো। এখন আর্মি, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ নামে। একটা কেন্দ্রে যে পরিমাণ সশস্ত্র সদস্য থাকে তা একটা থানার সমান।’
নূরুল হুদা বলেন, ‘এখন তো আমাদের সেই পরিস্থিতি নেই যে, বাক্স আছে লোকজন ব্যালটে ভোট দিবে। এখন আছে ইভিএম। ইভিএম এমন একটা বিষয় যেখানে বাক্স ছিনতাই করা যায় না। একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারে না। নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে ইভিএম চালু করা যায় না। এর যথেষ্ট সুবিধা আছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব বেগম জেসমিন টুলী, সাবেক সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক, সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদা, সাবেক সিইসি শামসুল হুদা, সাবেক সিইসি বিচারপতি আব্দুর রউফ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আবু হাফিজ।