পদ্মা সেতু দিয়ে স্বর্গে যাবো, সরকারকে খোঁচা ফখরুলের

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন ১০ টাকা তেলের দাম বাড়লে বিরাট দাম বেড়ে যেতো। তখন রাজপথে স্লোগান দিতাম। আমরা বলতাম ১০ টাকার তেল খেয়ে স্বর্গে যাবো। এখন বলতে চাই, ওই সেতুর টোল দিয়ে এবং পদ্মা সেতু দিয়ে স্বর্গে যাবো।’

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ বলেন।

গ্যাস সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি যৌথভাবে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে; সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ত্রিশ হাজার কোটি টাকার পর্যায়ে নিয়েছে। বাকি সব টাকা চুরি করেছে।’

আরও পড়ুন: মিথ্যাচারে নোবেল থাকলে মির্জা ফখরুল পেতেন: কাদের

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই অনির্বাচিত সরকার গতকাল বাজেট ঘোষণা দিয়েছে। এই বাজেট জনগণের জন্য নয়। এই সরকার জনগণের শত্রু। এই বাজেট জনগণের গণশত্রু হিসেবে ঘোষণা হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শিল্প কারখানায় যে গ্যাস ব্যবহার করা হয় সেই গ্যাসের দামও বাড়বে। এভাবে প্রতিটি জিনিসের দাম বৃদ্ধি রাতারাতি বাড়তে থাকবে। আজকের বাজেট পাস করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অর্থাৎ পুলিশ বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। সরকার সাধারণ জনগণের পাশে অতীতেও ছিল না, বর্তমানেও জনগণকে নিয়ে চিন্তাভাবনা করে না।’

বিএনপি মহাসচিব অভিযাগ করে বলেন, ‘খালেদা জিয়া সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভোটের প্রধানমন্ত্রী, আজ আমাদের খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। অন্যায় ভাবে তাকে বন্দি করে রাখছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের অসংখ্যা নেতাকে গ্রেফতার করে রাখছে। শেখ হাসিনার কবল থেকে আমাদের অবশ্যই মুক্তি পেতে হবে। আর এই মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ কখনো স্বৈরাচারী, ফ্যাসিবাদী সরকারকে পছন্দ করেনি।’

মির্জা ফখরুল সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘সরকারকে বলছি এখনও সময় আছে পদত্যাগ করুন। এমন এক সময় আসবে আপনি পালানোর সময় পাবেন না।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক এবং দক্ষিণে সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।