নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৭ জুন, ২০২২ ৯:০৮ : অপরাহ্ণ
রাজধানীর জুরাইনে জনতার হামলার শিকার হয়েছেন কর্তব্যরত সার্জেন্টসহ ট্রাফিকপুলিশের তিন সদস্য।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জুরাইন রেলগেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সার্জেন্ট আলী হোসেন, ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামপুর থানার এসআই উৎপল চন্দ্রকে রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় অংশ নেওয়া মোটরসাইকেল আরোহী সোহাগ-উল ইসলাম রনি, তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশাত ভুইয়া ও শ্যালক ইয়াসির আরাফাত ভুইয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় সাড়ে চারশ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে আটক তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. আলী হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আটক রনি নিজেকে আইনজীবী ও ‘বার্তা বিচিত্রা’ নামের পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছেন।
শ্যামপুর থানার ওসি মফিজুল আলম জানিয়েছেন, সকাল পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় উল্টোপথে রনি মোটরসাইকেলটি চালিয়ে আসছিলেন। আরোহী ছিলেন স্ত্রী নিশাত ও শ্যালক আরাফাত। তখন ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন সেটি থামিয়ে কাগজপত্র দেখতে চাইলে রনি দুর্ব্যবহার শুরু করেন। ইউনিফর্ম পরা থাকলেও উল্টো তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সার্জেন্টের পরিচয়পত্র দেখতে চান।
পরে দুইজনকে অদূরে পুলিশ বক্সে নেওয়া হলে সঙ্গে থাকা নারী উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। তখন আশপাশে থাকা লোকজন নারী লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলে সার্জেন্টকে মারধর শুরু করে। পুলিশ বক্সটিও ভাংচুর করে। লোকজন দেখে চালক রনি সার্জেন্টের বুকের উপর পা তুলে চেপে বসে। ওই সময়ে ঘটনাস্থলে আসা উৎসুক জনতার মধ্য থেকে কেউ সার্জেন্টের হাতে ছুরিকাঘাত করে।
এ সময় সার্জেন্টকে উদ্ধারে আসা পুলিশের এক এসআই ও এক কনস্টেবলকে বেধড়ক মারধর ও ধাওয়া করা হয়। পরে শ্যামপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে ঘটনার শিকার পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে।
অবশ্য অভিযুক্ত তিনজন পুলিশের হাতে আটক থাকায় কী নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।