নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :৭ জুন, ২০২২ ১:১৫ : অপরাহ্ণ
টানা ৬১ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল। এর মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে আরও ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত দুই লাশের মধ্যে একজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, অপরজন নিরাপত্তাকর্মী।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৩ জনে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ১০ কর্মী রয়েছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ৩৯ জন। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল সাংবাদিকদের বলেন, গত রোববার সকাল থেকে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের প্রায় দুই শতাধিক সদস্য বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে কাজ করছেন। ডিপোতে এসে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। এখন যে আগুনটা আছে তা প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লেগেছে। কারণ, এলাকাটা অনেক বড়।
প্রায় ২৬ একর জায়গায় ডিপোটি। এখানে কনটেইনারের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি। কনটেইনারগুলো একটির সঙ্গে আরেকটি লাগানো ছিল।
সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, জ্বলন্ত কনটেইনারের পাশে কিছু ভালো কনটেইনার ছিল। সেগুলো আমরা পৃথক করে রেখেছি। যাতে আগুনটা আর না বাড়ে এবং ক্ষয়ক্ষতি না হয়। আগুন প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এখান থেকে আর কোনোভাবে আগুন ছড়ানোর সুযোগ নেই।
শনিবার রাত ৯ টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোর একটা কনটেইনারে আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গে ডিপো কর্তৃপক্ষ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে স্বাভাবিক নিয়মে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিল। এরপর ৪০ মিনিটের মাথায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণের তীব্রতা এতোই বেশি ছিল যে, আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা তীব্রভাবে কেঁপে ওঠে।