চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি। ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছেন। দাহ্য পদার্থ নিয়ে লুকোচুরির কারণেই আগুন পুরোপুরি নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ডিপোতে থাকা কনটেইনারে দাহ্য পদার্থ রয়েছে। কিন্তু কোন কনটেইনারে কী ধরনের দাহ্য পদার্থ রয়েছে সেটা কারও কাছ থেকে জানা যাচ্ছে না। এ কারণেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে।
এদিকে গতকাল রোববার ডিপোর সার্বিক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনার ইঞ্জিনিয়ার কোর। তারাও সেখানে কাজ করে যাচ্ছেন।
ভয়াবহ এই আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন দপ্তর এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে, জেলা প্রশাসন ৪৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও চিকিৎসকদের আশঙ্কা সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মৃতদের মধ্যে ২১ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এদের মধ্যে ১২ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনের মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাদের মরদেহ শনাক্ত করতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিএনএ পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
এ ছাড়া এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ জনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে আজ সীতাকুণ্ডের ঘটনাস্থল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।