শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা চট্ট-মেট্টো

‘কালেমা পড়েছি, ক্ষমা করে দিও’


সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে মারা যাওয়া মোমিনুল হকের (ইনসেটে) বাবা ফরিদুল আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৫ জুন, ২০২২ ৯:৫৫ : পূর্বাহ্ণ

‘আমার এক পা উড়ে গেছে। আমি কালেমা পড়েছি। হয়তো আর বাঁচবো না। আমাকে ক্ষমা করে দিও।’

মৃত্যুর আগে বাবাকে ফোন করে কথাগুলো বলেছিলেন সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে মৃত মোমিনুল হক (২৫)।

শনিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বসে ছেলের সঙ্গে বলা শেষ কথাগুলো এভাবেই জানান তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক ফরিদুল আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আমার দুই ছেলে এক মেয়ে। মোমিনুল ছোট। সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিল। তিন মাস আগে জীবনের প্রথম চাকরিতে যোগদান করেছিল। ছেলেকে হারিয়ে আমার সব শেষ হয়ে গেলো।’

চট্টগ্রাম মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে বসে হাউমাউ করে কাঁদছেন এ বাবা।

তিনি বলেন, ‘রাতে একবার আমাকে ফোন দিয়েছিল মোমিনুল। তখন বলেছিল, বাবা আমাদের কনটেইনার ডিপোতে আগুন লেগেছে। কেমিক্যালের ট্যাংক সব জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। তখন আমি বললাম, তুমি সতর্ক থাকো। ফোন কেটে যাওয়ার পর পুনরায় কল দিলে আর ধরেনি।’

ফরিদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর ছেলে ফোন করে বলে, ‘আমার এক পা উড়ে গেছে বাবা। আমি কালেমা পড়েছি। হয়তো আর বাঁচবো না। আমাকে ক্ষমা করে দিও। এ কথা বলেই ফোন রেখে দেয়।’

সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ২১ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিনজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও রয়েছেন।

আরও পড়ুন:

৪০ মিনিট লাইভের পর বিস্ফোরণে উড়ে যান অলিউর

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১, দগ্ধ দুই শতাধিক

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর