শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

২ বছর পর চালু মৈত্রী এক্সপ্রেস, কলকাতা গেলেন ১৬৫ যাত্রী


আজ রোববার সকালে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন থেকে ১৬৫ জন যাত্রী নিয় কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় মৈত্রী এক্সপ্রেস। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৯ মে, ২০২২ ১১:৩১ : পূর্বাহ্ণ

করোনায় বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হলো ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস। আজ রোববার ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন থেকে ২৯১ আসন ফাঁকা রেখে ১৬৫ জন যাত্রী নিয় কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।

ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে সকাল আটটা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। বিকেল চারটায় কলকাতার চিতপুর স্টেশনে পৌঁছাবে এটি। আগামীকাল সোমবার আবার কলকাতা থেকে যাত্রী নিয়ে বিকেল চারটায় ঢাকা আসবে।

ট্রেনটিতে আসন রয়েছে ৪৫৬টি। আর টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৭০টি।

রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার জানান, প্রথম দিনে মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রী সংখ্যা ছিল অর্ধেকেরও কম। তবে ট্রেনে করে ভারতে যেতে পারায় আনন্দিত যাত্রীরা। সপ্তাহে চার দিন ট্রেনটি চলাচল করবে। এ ছাড়া ১ জুন থেকে ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে প্রথমবারের মতো যাত্রী পরিবহন করবে মিতালী এক্সপ্রেস।

২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা ট্রেন মৈত্রী ও বন্ধন ট্রেনের চলাচল বন্ধ হয়। আর ২০২১ সালে উদ্বোধন হয়ে থাকা ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে চলাচল করা ট্রেন মিতালী প্রথমবারের মতো ১ জুন থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু করবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন থেকে কলকাতার চিতপুর স্টেশনের দূরত্ব ৫৩৮ কিলোমিটার। ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস সপ্তাহে চারদিন (বুধবার, শুক্রবার, শনিবার এবং রোববার) চলাচল করবে। ঢাকা থেকে মিতালী এক্সপ্রেস চলাচল করবে সোম ও বৃহস্পতিবার। ঢাকা থেকে ছাড়বে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে, ভারতে পৌঁছাবে সকাল ৭টা ৫ মিনিটে। অপরদিকে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়বে রোববার ও বুধবার। ট্রেনটি ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়বে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছাবে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে। ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) থেকে হলদিবাড়ি হয়ে সীমান্ত পার হবে। তারপর বাংলাদেশের নীলফামারীর চিলাহাটিতে যাত্রী নামিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছাবে।

এই রেলপথে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসে এসি সিটের ভাড়া ৩ হাজার ৬০৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ২ হাজার ৫৭০ টাকা। এসি চেয়ার ২ হাজার ৭৮০ টাকা, এসি সিট ৩ হাজার ৪২০ টাকা এবং এসি বার্থ ৫ হাজার ২৫৫ টাকা। আর মিতালী এক্সপ্রেসে এসি চেয়ারের ভাড়া ২ হাজার ৭৮০ টাকা, এসি সিট ৩ হাজার ৪২০ টাকা এবং এসি বার্থ ৫ হাজার ২৫৫ টাকা। বন্ধন এক্সপ্রেসে খুলনা-কলকাতার ভাড়া এসি সিট দুই হাজার ৫৫২ টাকা, এসি চেয়ার এক হাজার ৫৩৫ টাকা।

এক থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের জন্য ৫০ শতাংশ ছাড় রয়েছে। এক্ষেত্রে পাসপোর্ট অনুসারে বয়স নির্ধারিত হবে। সিঙ্গেল কেবিনে তিনটি সিট এবং ডাবল কেবিনে ছয়টি সিটের টিকিট দেওয়া হয়।

মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেসে ঢাকা-কলকাতা বা নিউ জলপাইগুড়ি ভ্রমণের জন্য টিকিট কাটতে হবে কমলাপুর রেলস্টেশন ও চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে। এর বাইরে কোথাও এসব ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয় না। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকিট দেওয়া হয়। পাসপোর্টের মূলকপি দেখিয়ে নির্দিষ্ট ফরমে অগ্রিম টিকিট চেয়ে আবেদন করতে হবে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর