নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :১৪ মে, ২০২২ ৭:০২ : অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ‘ধন্যবাদ’ দিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন ‘যারাই আওয়ামী লীগ করেছে; তারাই বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে’ অর্থাৎ দলের সবাই চোর সেটা তিনি স্বীকার করেছেন। তবে টাকা যেখানেই পাচার হোক বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তা দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। দেশের টাকা আকাশে যাক, আর সাগরে ভাসুক, সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। আওয়ামী লীগ টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। ব্যবসায়ীদেরকে এখন ১০ নয়, তাদের ১০০ শতাংশ কমিশন দিতে হয়।’’
আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগরীর কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
‘দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে’ কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক উদাহরণ টেনে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ক্ষমতার সময় শেষ হয়ে এসেছে। তারা ভাবতেই পারে না ক্ষমতা ছাড়তে হবে। তারা ভাবে এটা মনে হয় তাদের জন্মগত অধিকার। আওয়ামী লীগ সব ছাড়তে রাজি কিন্তু ক্ষমতা ছাড়তে রাজি না। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়তেই হবে।’
আরও পড়ুন: তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে গেছেন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বুঝতে পারবেন কতো ধানে কতো চাল। ১৩ বছর ধরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার নির্যাতন করেছেন। নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মামলা দিয়েছেন। তবে বিএনপি শহীদ জিয়ার দল। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না।আমারা ভোট দেওয়ার অধিকার চাই, গণতন্ত্র ও গণনির্বাচন চাই। খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। নেত্রীকে মুক্ত করার কোন বিকল্প নেই। তিনি আসলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশের পুলিশ দেশের জন্য রক্ত দিয়েছে। পুলিশের অনেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের পুলিশ সুনামের সঙ্গে কাজ করেছে। এই ৫০ বছরে পুলিশের বিরুদ্ধে কোন দেশের নিষেধাজ্ঞা আসেনি। পুলিশকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। তারা পুলিশকে ডাকাতের দলে পরিণত করেছে। আমেরিকা তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পুলিশ এখন দুবাইও যেতে পারে না, ভারতেও মনে হয় যেতে দেবে না।’
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন,সৈয়দ আজম উদ্দীন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে, কুমিল্লায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের গাড়িতে এবং ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীনের বাড়িতে হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়।