রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৮ মে, ২০২২ ৯:৩১ : পূর্বাহ্ণ
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে এক পাষণ্ড স্বামীর বিরুদ্ধে।
আজ রোববার ভোর ৫ টার দিকে উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামের স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
হত্যাকাণ্ডের পর ঘাতক স্বামী আসাদুর রহমান রুবেল (৪০) পার্শ্ববর্তী ঢাকা আরিচা-মহাসড়কে আত্মহত্যার জন্য শুয়ে পড়েছিলেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
নিহতরা হলেন-রুবেলের স্ত্রী লাভলী আক্তার (৩৫), বড় মেয়ে ছোঁয়া আক্তার (১৬) ও ছোট মেয়ে কথা আক্তার(১২)।
ছোঁয়া আক্তার বানিয়াজুরী সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। আর কথা আক্তার স্থানীয় বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন।
ঘাতক রুবেল উপজেলার বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ডে দন্ত চিকিৎসক হিসেবে হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছেন।
শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবণী আক্তার জানান, রোববার ভোরে কোনো এক সময় আঙ্গারপাড়া গ্রামের দন্ত চিকিৎসক আসাদুজ্জামান রুবেল তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে গলাকেটে হত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, রুবেল ও লাভলীর ভালোবাসার বিয়ে। ১৩ বছর যাবত রুবেল আঙ্গারপাড়া একই গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু কিছুদিন যাবত তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পারিবারিক কলহ বাড়তে থাকে। গতকাল রাতে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় বালিয়াখোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল খান বলেন, রুবেল অনেক টাকা ঋণ গ্রস্ত হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এর ফলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূ লাভলী আক্তারের ভাই মো. আলম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।