নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :২৩ এপ্রিল, ২০২২ ১০:৩১ : পূর্বাহ্ণ
চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় দুই যুবক খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
গতকাল শুক্রবার রাতে ঘটনা দুটি ঘটে।
রাত নয়টার দিকে নগরীর চেরাগীপাহাড় এলাকায় আসকার বিন তারেক ইভান নামে এক ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলা চালায় কয়েকজন তরুণ। তারা রাস্তায় ফেলে আসকারকে এলোপাতাড়ি কোপায়। একপর্যায়ে তাকে ফেলে তারা পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা আসকারকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে রাত ১২টার দিকে মারা যায়।
নিহত আসকার বিন তারেক (১৮) নগরীর এনায়েত বাজার এলাকার এস এম তারেকের ছেলে। তিনি জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নগর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক সাব্বির সাদিক ও সদস্য সৈকত দাশের অনুসারীদের মধ্যে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার ইফতারের পর নগরের আন্দরকিল্লা মোড়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। রাতে চেরাগী পাহাড় মোড়ে উভয় পক্ষ জড়ো হয়ে আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় আসকার বিন তারেককে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়।
নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
অন্য ঘটনাটি ঘটে রাত ১০টার দিকে পটিয়া উপজেলায়। পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়নে রাজনৈতিক পূর্বশত্রুতার জের ধরে মো. সোহেল নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত মো. সোহেল (৩৫) কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছোট ভাই।
আহতরা হলেন- মো. সাজ্জাদ (২০), সাদ্দাম হোসেন (৩০) ও জয়নাল আবেদীন (৩৪)।
আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, তিন মাস আগে হয়ে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
জানা গেছে, নিহত ও আহত চারজনই যুবলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। তিনদিন আগেও পটিয়ায় গুলিতে চার যুবলীগ নেতা আহত হয়।