রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২২ এপ্রিল, ২০২২ ৪:৩৬ : অপরাহ্ণ
আস্থা-অনাস্থা আর পাওয়া না পাওয়ার নানা জটিল সমীকরণে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। জোটের সবশেষ বৈঠক কবে হয়েছে কিংবা আবার কবে হবে, সেসব জানেন না অনেকেই।
নির্বাচনের আগে কিছুটা কদর থাকলেও বছরের পর বছর অনাদর-অবহেলায় থাকেন শরিক দলের নেতারা।
এরমধ্যে বেশিরভাগ দলের সক্ষমতা নেই রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করার, দেশজুড়ে নেই সাংগঠনিক ভিত্তিও। অনেকটা পরগাছার মতো বিএনপির ওপর ভর দিয়ে চলছে কোনো কোনো দল।
লেবার পর্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, বিএনপি যখন চায় তখন ২০ দলীয় জোট সক্রিয় হয়। বিএনপি যখন চায় ২০ দলীয় জোট নিষ্ক্রিয় হবে, তখন নিষ্ক্রিয় হয়। কখন সক্রিয়-নিষ্ক্রিয় হবে এটা বিএনপি জানে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, অনেক দিন থেকে নিষ্ক্রিয় থাকা ২০ দলীয় জোট কিছুটা সক্রিয় হচ্ছে। বিএনপির সভা-সমাবেশে ডাক পাচ্ছেন শরিক দলের নেতারা। তবে, কর্মসূচিতে যতোটা জোরালো বক্তব্য দেন তারা, বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাদের কর্মী নেই, সমর্থকও নেই। কিছু কর্মসূচি থাকলেও বাস্তবায়নের সামর্থ্য নেই অনেকের। সব কিছুর জন্য নির্ভর করতে হয়।
জোটের অন্যতম শরিক জামায়াত। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এখন কৌশলী অবস্থানে। আর ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে কোনো রকমে জোটে আছে ইসলামী ঐক্যজোট আর খেলাফতে মজলিসের মতো দলগুলো।
এই জোটে তুরুপের তাস ছিল আন্দালিব রহমান পার্থ; তিনিও জোট ছেড়েছেন বহু আগেই। কল্যাণ পার্টি কিছুটা সক্রিয় থাকলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিপর্যস্ত শফিউল আলম প্রধানের জাগপা আর কর্নেল অলির এলডিপি।
এলডিপি’র মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন, বিএনপি যখন যে উদ্যোগ নিয়েছে, সবগুলোর সঙ্গে ছিলাম। সরকার পতনে বিএনপি যে কর্মসূচি নেবে, তাতে আমরা একাত্মতা ঘোষণা করব।
নানা কারণে নানা সময়ে জোট ছেড়েছেন অনেক নেতা। কিন্তু কখনোই সংখ্যা কমেনি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের। তবে বৃহৎ এ জোটে বিএনপির বাইরে নিবন্ধন আছে মাত্র ৩টি দলের।
এ বিষয়ে জোটের শরিক দল এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকটে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, নিবন্ধনের সঙ্গে রাজনীতি কিংবা আন্দোলন-সংগ্রামের সম্পর্ক নেই। আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বিএনপির অবস্থান অবশ্য বরাবরের মতোই, ধরি মাছ-না ছুঁই পানির মতো। দলটির নেতারা বলছেন, এখনো জোট নিয়ে কর্মপরিকল্পা করা হয়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জানিয়েছেন, আগে আন্দোলনের কৌশল কী হবে তা ঠিক করা হবে। এখনও আলোচনা চলছে।
২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে শরিকদের। প্রায় ৫ বছর পর আবার জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরেই বাড়ছে দু’পক্ষের যোগাযোগ।