নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :১৬ এপ্রিল, ২০২২ ৩:০৪ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলীখেলা ও মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
এ বছর লালদিঘী মাঠের পরিবর্তে খেলা ও মেলা হবে জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে খোলা সড়কের ওপর।
আগামী ২৫ এপ্রিল বিকেল ৩টা থেকে বলীখেলা অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে বৈশাখী মেলাও।
আজ শনিবার দুপুরে বহদ্দারহাটে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এই তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) আবদুল জব্বারের বলীখেলা হবে। তবে এবার লালদিঘী মাঠে নয়, খেলা হবে জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনের খোলা সড়কের ওপর। একইসঙ্গে তিনদিন ব্যাপী মেলাও হবে। ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে বৈশাখী মেলা।
মেয়র বলেন, কয়েকদিন আগে একটা ঘোষণা এসেছিল, এবার নাকি আবদুল জব্বারের বলীখেলা হবে না। এটা জানার পর সবার মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। অনেকে মোবাইলে সেই হতাশার কথা আমাকে জানান। তারা প্রশ্ন করেছেন, কেন বলীখেলা ও মেলা হবে না। এরপর আমি বললাম-মেলা অবশ্যই হবে। সেজন্য আয়োজক কমিটির সবাইকে ডেকে কথা বললাম। বৈঠকে মেলা ও খেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মেলা আয়োজক কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির সভাপতি চসিক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল ও সাবেক কাউন্সিলর জামাল হোসেন।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বাঙালি যুব সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করতে চট্টগ্রামের বদরপতি এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর কুস্তির প্রবর্তন করেছিলেন যা চট্টগ্রাম অঞ্চলে ‘বলীখেলা’ নামে পরিচিত।
১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলা সনের ১২ বৈশাখ নিজ নামে লালদীঘির মাঠে এই বলীখেলার সূচনা করেন তিনি।
সূচনার ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর লালদীঘির মাঠে ১২ বৈশাখ অনুষ্ঠিত হয় বলীখেলা। বলীখেলার একদিন আগে-পরে তিনদিন ধরে লালদীঘির পাড়সহ আশপাশের এলাকায় প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে বসে মেলা। এ মেলায় গৃহস্থালী পণ্য থেকে শুরু করে নানা পণ্যের পসরা বসে।
করোনার সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর বলীখেলা ও মেলা আয়োজন সম্ভব হয়নি।