রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৭ এপ্রিল, ২০২২ ১:১৭ : অপরাহ্ণ
ভারতে প্রথম সন্ধান মিললো করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক রূপ ‘এক্সই’। মুম্বাইয়ে এক আক্রান্তের দেহে করোনার নতুন রূপটি চিহ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের এক্সই রূপটি প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত সে দেশে ৬৩৭টি এক্সই সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত করা গেছে।
তবে সংক্রমণ ক্ষমতা প্রবল হলেও করোনাভাইরাসের নয়া রূপটির মারণক্ষমতা কম বলেই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে অনুমান ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
‘এক্সই’ কোভিড আসলে কী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কোভিডের পূর্ববর্তী দুটি ধরন বিএ.১ ও বিএ.২-এর রিকম্বিন্যান্ট রূপ। একই ব্যক্তি যখন কোভিডের একাধিক রূপে আক্রান্ত হন, তখন দুটি রূপের জিনগত উপাদানের সংমিশ্রণে এই ধরনের নতুন রূপের উৎপত্তি হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ইতোমধ্যে জানিয়েছে, এই ধরনটি ওমিক্রনের বিএ.২ রূপের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি সংক্রামক।
কোভিড-১৯ এর একাধিক লক্ষণকে ডব্লিউএইচও এক্সই ধরনের উপসর্গ বলে চিহ্নিত করেছে।
এই তালিকায় রয়েছে-কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, আকস্মিক ছোঁয়াচে কাশি, স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি না পাওয়া কিংবা পরিবর্তন আসা, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, শরীর ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া কিংবা নাক দিয়ে ক্রমাগত পানি পড়তে থাকা, খাবারে অরুচি ও ডায়েরিয়ার মতো লক্ষণ।
কতটা উদ্বেগজনক?
বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট টম পিককের মতে, একটি ভাইরাস (যেমন এক্সই বা এক্সএফ) থেকে স্পাইক এবং স্ট্রাকচারাল প্রোটিন ধারণ করে সংমিশ্রণগুলি নিজেদের মূল ভাইরাসের মতোই কাজ করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্সডি সম্ভবত এক্সই-র চেয়ে একটু কম উদ্বেগজনক।
জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং ডেনমার্কে পাওয়া গিয়েছে এক্সডি। যার মধ্যে ডেল্টা থেকে পাওয়া স্ট্রাকচারাল প্রোটিন রয়েছে। যদি এই সংমিশ্রণগুলির মধ্যে যে কোনো একটি নিজের মূল ভাইরাসের থেকে অনেক আলাদা ভাবে কাজ করে তবে তা এক্সডি হতে পারে।
অন্যদিকে, সংক্রমণ ক্ষমতা প্রবল হলেও এক্সই রূপটির মারণক্ষমতা কম বলেই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ধারণা করছেন একাংশের বিশেষজ্ঞ।