রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩ এপ্রিল, ২০২২ ১০:৩১ : অপরাহ্ণ
রোজায় দীর্ঘ সময় খাবার না খেয়ে থাকতে হয়। ফলে অনেকের পানিশূন্যতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হতে পারেন। এর মধ্যে চলতি বছর চৈত্র মাসের দীর্ঘ ও উত্তপ্ত দিনের বেলা রোজা রাখতে হয়। ফলে পনিশূন্যতার আশঙ্কা বেশি রোজাদারের জন্য।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে অবশ্যই পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পেতে দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে বলে জানান চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা বলেন, ‘ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে যেগুলোতে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। আর এই সময়টাতে যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
অনেকেই ইফতারের পর আর খেতে চান না; এটি ঠিক নয়। রাতের পরিমিত মাত্রায় খাবার খেতে হবে এবং সেহরিও। তাহলে শরীরে পানির ঘাটতি কম হবে।’
চিকিৎসকরা সাধারণত বয়স, উচ্চতা ও ওজন ভেদে এক ব্যক্তিকে দৈনিক ১২-১৬ গ্লাস পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
পানিশূন্যতা কেন হয়
ঘাম, প্রস্রাব ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রচুর পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে পানিশূন্যতার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে পানি না পান করার কারণেও শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। খাবার তালিকায় পানিসমৃদ্ধ খাবার না রাখা। জ্বর বা ডায়রিয়ার মতো অসুস্থতাজনিত কারণে হতে পারে। অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া খাবারের কারণেও পানিশূন্যতা হতে পারে। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান না করা। ইফতারের পর অতিমাত্রায় চা কফি খেলে। অতিরিক্ত রোদ বা গরমে থাকার কারণেও পানিশূন্যতা হতে পারে।
পানিশূন্যতা যেভাবে বুঝবেন
পানিশূন্যতার ফলে দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো, মাথাব্যথা, খিট-খিটে মেজাজ, গলা শুকিয়ে যাওয়া, জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া, অচেতন হয়ে পড়া, বুক ধড়ফড়, কোষ্ঠকাঠিন্য, হার্ট বিট ও প্রেশার কমে যেতে পারে এবং প্রস্রাব হলুদ হওয়া বা প্রস্রাব কমে যাওয়া মতো শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
পানিশূন্যতা থেকে যেভাবে মুক্ত থাকবেন
ইফতার ও সেহরির মধ্যকার সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া। ইফতারে ফলের রস ও ফলের পরিমাণ বেশি রাখা। সরাসরি রোদে না যাওয়া। অতিরিক্ত খাবার না খাওয়া। প্রয়োজনে ডাবের পানি বা খাবার স্যালাইন পান করা। হালকা শরীর চর্চা করা। তবে পানি পান করতে গিয়ে অনেকে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি খেয়ে থাকেন যা স্বস্থ্যকর নয়। যাদের চা পানের অভ্যাস আছে তারা দুধ চায়ের পরিবর্তে রং চা পান করতে পারেন। রান্না করা খাবারের ক্ষেত্রে লাউ, কুমড়ো বা পেঁপে জাতীয় খাবার বেশি রাখলে শরীর পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।