সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

‘বিতর্কিত’ আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল



নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৮ মার্চ, ২০২২ ৪:৫১ : অপরাহ্ণ

অবশেষে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনীত হওয়া ‘বিতর্কিত’ মো. আমির হামজার পুরস্কার (মরণোত্তর) বাতিল করেছে সরকার।

আজ শুক্রবার তাকে বাদ দিয়ে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

আগের তালিকায় ১০ জন ব্যক্তি থাকলেও সংশোধিত তালিকায় রাখা হয়েছে ৯ জনকে।

এর আগে গত ১৫ মার্চ এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে সরকার। এতে সাহিত্যে প্রয়াত আমির হামজার নাম আসে।

অচেনা এই ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননায় ভূষিত করায় অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেন।

পরে খবর নিয়ে ‘বাঘের থাবা’, ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব তুমি’ ও ‘একুশের পাঁচালি’ নামে তার তিনটি বইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়।

তার জন্মস্থান মাগুরায়। সেখানে তাকে ‘চারণ কবি’ হিসেবে চিনতেন অনেকে। তিনি গানের আসরে বসে গান লিখতেন সঙ্গে সুরও করতেন।

মরণোত্তর পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক আমির হামজার বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরিশাট গ্রামে। ওই গ্রামসহ সারাজেলার মানুষের কাছে তিনি পালাগানের শিল্পী কিংবা কবি হিসেবে পরিচিত।

কিন্তু বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসে, বরিশাট গ্রামে ১৯৭৮ সালে শাহাদত ফকির নামে আড়াই বছরের একটি শিশু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন আমির হামজা।

সর্বশেষ ২০০৭ সালেও স্থানীয় একটি গ্রাম্য মারামারির ঘটনায় তিনি আসামি ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ ঘটনায় তারা দুই ভাইসহ মোট ৬ জনের কারাদণ্ড হয়। আট বছর জেল খাটার পর ৯১ সালের দিকে বিএনপি সরকার গঠন করলে মাগুরার মন্ত্রী মজিদুল হকের সহায়তায় বেরিয়ে আসেন তারা। ‘রাজনৈতিক বিবেচনায়’ সাধারণ ক্ষমা পান এই আমির হামজাও।

আমির হামজার ছেলে আসাদুজ্জামান সরকারি কর্মকর্তা। খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন তিনি।

২০১৯ সালে মারা যাওয়া আমির হামজাকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা ছেলের তৎপরতার কথাও আসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর