নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৬ মার্চ, ২০২২ ২:৩১ : অপরাহ্ণ
পঞ্চমবারের মতো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছে পরিবার। এবারও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর গত ১ মার্চ খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়।
ওই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করে খালেদার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার এ-সংক্রান্ত আবেদন করেন।
এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হবে।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে এ কথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের একটা পত্র আমরা পেয়েছি। এটা পরীক্ষার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আমরা পাঠিয়েছি। তাদের (আইন মন্ত্রণালয়) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যে পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন হবে, সেখানে পাঠাবো আমরা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়া খালেদা জিয়ার দণ্ড পরে আপিলের রায়ে দ্বিগুণ হয়। এরপর তার ৭ বছরের কারাদণ্ড হয়।
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলার কারাদণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান।
সর্বশেষ গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ছয় মাসের জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ে। সেই মেয়াদ ২৫ মার্চ শেষ হচ্ছে।
দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়। এগুলো হলো-বাসায় চিকিৎসা নিতে হবে ও তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
গত বছরের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম শর্তটি আর কার্যকর থাকেনি। তিনি চারবার এভারকেয়ারে যান এবং তিনবার সেখানে ভর্তি হন।
তবে স্বজনের আবেদন ও তার দলের নানা কর্মসূচির পরও সরকার খালেদাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি দেয়নি।