রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১২ মার্চ, ২০২২ ১১:৫১ : পূর্বাহ্ণ
চলমান ইউক্রেন ইস্যুতে ন্যাটো কোনোভাবে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে রূপ নেবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেন, ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি সরাসরি সংঘাত মানেই হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করা।
বাইডেন এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ন্যাটোর সমস্ত শক্তি দিয়ে ও দ্রুততার সাথে আমরা ন্যাটোর প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করবো। কিন্তু ইউক্রেনে আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়াবো না। ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ হলে সেটি হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যা প্রতিরোধে সবাইকে চেষ্টা করতে হবে।’
শুক্রবার মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে কথা বলছি না, তবে রাশিয়া যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে তবে তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে। রাশিয়ার অনুরোধে ইউক্রেনে জৈবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগে শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকে বসে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর মতো ইউক্রেনে লাখ লাখ ডলারের অস্ত্র যেমন অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট এবং অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছে। কিন্তু বাইডেন আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনীয়দের আবেদন সত্ত্বেও মার্কিন বাহিনী সেখানে যুদ্ধ করবে না।
এ সময় বাইডেন আরও জানান, মার্কিন সরকার এর আগেও দেখেছে যে— রাশিয়ার সরকার ২০২০ সালে দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি ওপর ‘স্লো পয়জনের’ প্রয়োগ এবং ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডে থাকা সের্গেই ও ইউলিয়া স্ক্রিপালের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে জয়ী বা তার কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনে সফল হবেন না বলে আবারও মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এক টুইটবার্তায় বাইডেন লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুতিনের যুদ্ধে কখনও জয় আসবে না। তিনি কোনো লড়াই ছাড়া ইউক্রেন নিয়ন্ত্রণের আশা করেছিলেন। তিনি ইউরোপীয় ঐক্যে চিড় ধরানোর আশা করেছিলেন। তিনি ন্যাটো জোটকে দুর্বল করার আশা করেছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ভাঙার আশা করেছিলেন। (কিন্তু), তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে তিন দিক থেকে হামলা শুরুর পর রুশ সেনারা এখন ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভ ঘিরে ফেলছে। স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কিয়েভের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে আবার অগ্রসর হতে শুরু করেছে রুশ বাহিনী।