নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৮ মার্চ, ২০২২ ৩:০১ : অপরাহ্ণ
সারাদেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘মানুষ বলতে পারছে না। টিসিবির ন্যায্যমূল্যের ট্রাকের পেছনে গিয়ে মানুষ মুখে ‘মুখোশ’ পরে দাঁড়ায়। সেখানে লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়। ধাক্কাধাক্কি করে, মারামারি করে কোনো রকমে এক লিটার তেল অথবা চাল, একটু আলু কিনছে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যুবদল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই তারা জনগণের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার চেষ্টা করেছে। ১৯৭২ থেকে ৭৫ সাল, একই অবস্থা ছিল। তাদের সেদিনের অযোগ্যতা-দুর্নীতির কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। লক্ষ মানুষ না খেতে পেয়ে মরে গিয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন-করোনার পরে এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে জিনিসপত্রের দাম সব জায়গায় বেড়েছে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ কবে থেকে শুরু হলো? আর কবে থেকে এ দেশের মানুষ চিৎকার করছে তেলের দাম কমাও, চালের দাম কমাও, ডালের দাম কমাও, আমরা আর পারছি না।’
আরও পড়ুন: এক দিনের আয় দিয়ে ২০ কেজি চাল কিনতে পারেন শ্রমিক: তথ্যমন্ত্রী
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তার অন্যতম কারণ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো। আরেকটি কারণ হলো-গ্যাসের দাম বাড়ানো। গ্যাস আমদানি করার প্রধান লোকটি হলেন সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। তিনি যতবার আমদানি করেছেন, ততবার দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা যে এ দেশকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন, তার জবাব তারা দিতে পারবেন না। এভাবে সিন্ডিকেট করে এ দেশ থেকে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। সম্পদ লুট করে বিদেশে বাড়ি-ঘর তৈরি করছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘বাণিজ্যমন্ত্রী বললেন, জিনিসপত্রের দাম কমাও-না হলে তোমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সেদিনই পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা কেজি প্রতি বেড়ে গেলো। এর অর্থ এই সরকারের বাজারের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এর প্রধান কারণ হলো- সব সিন্ডিকেটের প্রধান হচ্ছে আওয়ামী নেতারা। বাংলাদেশে যত চাঁদাবাজি, ঘুষ—সবকিছুর মূলে এই আওয়ামী লীগ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য-এ দেশের মানুষ সহ্য করতে করতে অনেক সহ্য করতে শিখে গেছে। …মানুষকে বাঁচাতে হলে, দুর্ভিক্ষ যাতে না হয় তার ব্যবস্থা করতে হলে, এই সরকারকে হটানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’