শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আন্তর্জাতিক

পারমাণবিক অস্ত্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ পুতিনের



রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ৬:৩১ : পূর্বাহ্ণ

ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীকে পরমাণু অস্ত্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভের সঙ্গে গতকাল রোববার এক বৈঠকে পুতিন এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির বর্তা সংস্থা তাস।

রাশিয়ার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীর জন্য এটাই সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কাবস্থা।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে পুতিন বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ’ নিয়েছে এবং ‘অবৈধ নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করেছে।

পুতিনের এই নির্দেশ ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

জাতিসংঘে মার্কিন দূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড সিবিএস নিউজকে বলেন, এর অর্থ হচ্ছে, পুতিন এমনভাবে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধি করছেন যা ‘সম্পূর্ণ
অগ্রহণযোগ্য’।

এর আগে গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, ‘যে কেউ আমাদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে’ তাকে এমন পরিণতি ভোগ করতে হবে যা তিনি কখনো দেখেননি।

পশ্চিমারা যদি তার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তবে পুতিন পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার করবেন-তার ওই হুঁশিয়ারিকে তখন তেমনই হুমকি হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল।

রোববার কৌশলগত পারমাণবিক শক্তির সর্বোচ্চ সতর্কতার কথা বলে মস্কো সেই হুমকিই যেন আবার দিলো।

সতর্ক অবস্থা থাকার অর্থ হলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারকে সহজ করে দেওয়া। তবে এর মানে এই নয় যে, এখনই তা ব্যবহারের ইচ্ছা আছে।

রাশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদকারী দেশ।

তবে দেশটি এটাও জানে. ন্যাটোর যা আছে তা যদি ব্যবহার করে তবে তা রাশিয়াকে ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট।

রাশিয়ার এই হুমকির অর্থ হলো, ইউক্রেনের প্রতি ন্যাটোর সমর্থনে রাশ টানা এবং এই ভয় তৈরি করা যে পুতিন এই ইস্যুতে কতদূর যেতে আগ্রহী।

এ ছাড়া পশ্চিমাদের মনে এই অনিশ্চয়তা তৈরি করা যে, ইউক্রেনের প্রতি ঠিক কতটুকু সমর্থনকে তিনি বরদাস্ত করবেন বা খুব বেশি সমর্থন বলে বিবেচনা করবেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণ চালাতে রাশিয়ান সেনাদের নির্দেশ দেন। এরপর রাশিয়ান সেনারা তিন দিক থেকে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। ইউক্রেনের সেনারাও প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন:

রাশিয়ার ৪৩০০ সেনা নিহত, ২৭টি যুদ্ধবিমান এবং হাজারো যুদ্ধযান ধ্বংস

বিনা শর্তে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি ইউক্রেন

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর