নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২:৪৪ : অপরাহ্ণ
পিলখানা হত্যাকাণ্ড কোনো বিদ্রোহ নয়, এটা ছিল সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র-এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া। পিলখানা হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানার শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পেছনে কারা ছিল, কেন এই ঘটনা ঘটেছিল, তার মূল রহস্য আজও অধরা রয়ে গেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ ঘটনায় হাজার হাজার বিডিআর সদস্যের বিচার হলেও এর ইন্ধন দাতাদের চিহ্নিত করা হয়নি। তদন্ত করলেও ১৩ বছরেও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধেও আমাদের এতো কর্মকর্তা চলে যাননি। একেবারে ৫৭ কর্মকর্তা চলে যাননি, একজন সৈনিক চলে গেছেন।’
এর আগে, এই দিন উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বনানীর সামরিক কবরাস্থানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নিহতদের স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নেতৃবৃন্দ তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির, লে. কর্ণেল (অব.) কামরুজ্জামান, মেজর(অব.) মিজানুর রহমান, মেজর (অব.) সারোয়ার হোসেন, মেজর (অব.) এম এ হাসান, মেজর (অব.) কোহিনুর আলম নূর, মেজর(অব.) আজিজ রেজা প্রমুখ।