রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ৪:৪৮ : অপরাহ্ণ
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর (অব.) মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে (৭০) মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি আটক করার ৬ দিন পর তাকে মুক্তি দেওয়া হলো।
তিনি বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলার একজন আসামি।
মুক্ত হওয়ার পর স্ত্রীকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন খায়রুজ্জামান।
আজ বুধবার ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এর আগে মালয়েশিয়ায় শরণার্থী হয়ে থাকা জেল হত্যা মামলার এ আসামিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটির একটি আদালত।
খায়রুজ্জামানের স্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কুয়ালালামপুরের একটি আদালত শুক্রবার এই নিষেধাজ্ঞা দেন।
খায়রুজ্জামানের আইনজীবী এএস ঢালিওয়াল ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের কাছে দাবি করেন, তার মক্কেল (খায়রুজ্জামান) একজন রাজনৈতিক শরণার্থী। তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচিআর) কার্ডধারী। তিনি কোনো অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেননি। তাকে আটক করা বেআইনি। তাকে বহিষ্কার করার অধিকার মালয়েশিয়ার নেই।
শরণার্থী কার্ডে গত প্রায় এক যুগ ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা খায়রুজ্জামানকে গত বুধবার অভিবাসন আইনে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছিলেন, খায়রুজ্জামানকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের সময়কালে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত ছিলেন খায়রুজ্জামান।
জাতীয় চার নেতাকে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর খায়রুজ্জামান জেলহত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
এরপর বিএনপি জামায়াত-জোট সরকারের সময় তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে চাকরিতে যুক্ত হন।
সর্বশেষ ২০০৭ সালের আগস্টে তিনি মালয়েশিয়ায় প্রথম শ্রেণির হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফিরে আসতে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কিন্তু জীবননাশের শঙ্কায় খায়রুজ্জামান কুয়ালালামপুরে ইউএনএইচসিআরের কাছে যান এবং মালয়েশিয়ায় তার অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি পরিচয়পত্র পান।
এরপর থেকে তিনি শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছিলেন।