প্রতিনিধি, রাজশাহী প্রকাশের সময় :১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:৫৫ : অপরাহ্ণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী এক ছাত্রের মৃত্যুর পর ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শহীদ হাবিবুর রহমান হলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিহত শিক্ষার্থীর নাম মাহমুদ হাবিব হিমেল। তিনি চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি নাটোর।
এ ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে বের হয়ে এসেছেন।
ইতোমধ্যে ছয়টি ট্রাকে আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঘটনাস্থল থেকে এখনো লাশ উদ্ধার না হওয়ায় ভিসির বাড়ি ঘেরাও করেছে তারা।
এ সময় উপাচার্যের ভবনে দফায় দফায় হামলা করে গেট ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, রাত পৌনে ৯টার দিকে শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পাথরবাহী ট্রাক মোটরসাইকেল আরোহী তিন ছাত্রকে চাপা দেয়।
এতে হিমেল ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন তার বন্ধু রিমেল ও অপর একজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় তারা উপাচার্য ও প্রক্টরের সাড়া না পেলে আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
তারা ৬টি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন। এর পর উপাচার্যের ভবনে হামলার চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়।
নিহত হিমেলের বন্ধু কনিক ও স্মৃতি জানান, এ ঘটনার পর প্রায় দেড় ঘণ্টা ঘটনাস্থলে লাশ পড়ে ছিল। তবুও রাবি কর্তৃপক্ষ লাশ সরাতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এটি দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকাণ্ড। প্রক্টর লিয়াকত আলীকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।
পরে রাত সোয়া ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার ঘটনাস্থলে আসেন। সেখানে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও তাকে শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি হবিবুর হলের সামনে ট্রাক ও মোটর সাইকেলের সংঘর্ষে এক ছাত্র মারা গেছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং কোনোভাবেই তা কাম্য নয়। কেন এমনটা ঘটেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’