নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:১৩ : অপরাহ্ণ
করোনার অতিসংক্রামক ওমিক্রনসহ অন্যান্য ধরন থেকে মানুষকে সুরক্ষা দিতে প্রথমে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের বুস্টার ডোজ দিচ্ছিলো সরকার।
পরবর্তীতে তা কমিয়ে ৫০ বছর করা হয়। এবার বুস্টার ডোজ দেওয়ার ন্যূনতম বয়স ৪০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে বিসিপিএস অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে করোনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানিয়েছেন।
করোনার ওমিক্রন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টেস্ট কম বিধায় রোগী কম, প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ৫০ বছর পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দিচ্ছি। কিন্তু আমরা খুব বেশি পরিমাণ সাড়া পাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত খুবই কম সংখ্যক মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছে। তাই এখন থেকে ৪০ বছরেও পাবে বুস্টার ডোজ।’
আরও পড়ুন: যেসব উপসর্গে বুঝবেন আপনি ওমিক্রনে আক্রান্ত
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ১২ কোটি মানুষকে টিকাকরণ করার লক্ষ্যমাত্রায় কর্মসূচি চলছে। তাই এখন ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকা দেয়া হচ্ছে। এখনও ৯ কোটি টিকা মজুদ আছে।’
দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও মানুষ এখনও মাস্ক ছাড়া চলাচল করছে-এমন হতাশা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শনাক্তের সংখ্যা বাড়লে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়বে।’
সরকার গত মাস থেকে করোনার টিকার নিয়মিত কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করে। ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও সম্মুখসারির কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়।
দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাস পরই শুধু বুস্টার ডোজ নেওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। এ জন্য নতুন করে নিবন্ধনের দরকার হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ কতটা বিপজ্জনক