নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ৮:১৭ : অপরাহ্ণ
সংসদে পাস হওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনটি বাকশালের মতোই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রোববার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫: বাকশাল’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় সারাদেশ থেকে এবং প্রবাসী নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন।
ভার্চুয়াল এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘১৯৭৫ :বাকশাল’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। গ্রন্থটি প্রকাশক করেছে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে কাজটা ১৯৭৫ সালে করতে পারেনি, একটা ছদ্মবেশ, বহুদলীয় গণতন্ত্রের একটা মোড়ক সামনে রেখে গত ১৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে সেই কাজ করতে ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে গেছে। আসলে এখানে বহুদলীয় গণতন্ত্র নেই। তারা ইতিমধ্যে দুটি নির্বাচন করেছে, সত্যিকার অর্থে জনগণ সেই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার পায়নি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কয়েকদিন আগে তারা আবারও একটা আইন তৈরি করলো। ঠিক সেই বাকশালের মতোই। বাকশাল করেছিল ১১ মিনিটে, এটা (নির্বাচন কমিশন আইন) সাতদিনের মধ্যে পাস করে নিলো সংসদে!’
আরও পড়ুন: সংসদে আলোচিত নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন পাস
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চরিত্রগতভাবে স্বৈরতান্ত্রিক দল, একটি ফ্যাসিবাদী দল। এই দল যারা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাদেরকে বাদ দিয়ে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের যারা নেতৃত্বে এসেছিলেন তাদের অন্তরে ও গঠনে ডেমোক্রেসি ছিল না। তাই ১৯৭১ সালের পরে অতিদ্রুত আওয়ামী লীগ সেই পথে ধাবিত হল এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করলো।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাকশাল প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে সেদিন দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও স্বপ্নকে ধ্বংস করা হয়েছিল। ঠিক একইভাবে আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতিকে দলীয়করণ করে লুটতরাজের অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ডকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর হাতে দমন করছে।’
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেন্টারের পরিচালক সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।
স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপদযাপনে দলের জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।