রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৯ জানুয়ারি, ২০২২ ৯:৩১ : পূর্বাহ্ণ
দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের পাহাড়ি গ্রাম নোইভা ডো কোরডোইরো। এই গ্রামের সব নারী এবং তরুণী খুবই সুন্দরী।
কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের জীবনসঙ্গীর অভাব। কিছুতেই পাত্র পাওয়া যায় না।
আর সে কারণেই অবিবাহিত অবস্থাতেই থেকে যেতে হচ্ছে তরুণীদের।
এই গ্রামে নারীদেরই সংখ্যা বেশি। ৬ শতাধিক নারী থাকেন এই গ্রামে।
যে কয়েক জন নারী বিয়ে করেছেন তারা নিজেদের গ্রাম ছেড়ে কখনও যাননি।
ফলে স্বামীকে ছাড়াই তাদের থাকতে হয়। সপ্তাহ শেষে দু’দিনের জন্য স্বামীরা গ্রামে আসেন।
তাছাড়া ছেলেদের ১৮ বছর বয়স হলেই বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ফলে ক্রমে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি।
জানা গেছে, এই গ্রামের একটি রীতি রয়েছে, বিয়ের পর কোনও মেয়ে গ্রাম ছেড়ে যাবেন না।
স্বামীকেই ওই গ্রামে তার স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে।
ফলে এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই গ্রামের তরুণীদের জন্য।
সুন্দরী এবং বিবাহযোগ্যা হলেও মেয়েরা সঙ্গী খুঁজে পাচ্ছেন না।
গ্রামেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে বলে আশপাশের এলাকার কোনও পুরুষই ওই গ্রামে বিয়ে করতে চান না।
ফলে বিবাহযোগ্যা হয়েও মেয়েদের অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে স্রেফ ওই কারণের জন্য।
এর পিছনেও একটি কাহিনী রয়েছে।
জানা যায়, ১৮৯০ সালে মারিয়া সেনহোরিনা ডি লিমা নামে একটি মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হয়।
এরপরই তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নোইভা ডো কোরডোইরোতে এলাকায় চলে আসেন।
১৮৯১ সালে তিনি এখানে একটি গ্রাম গড়ে তোলেন।
আর তখন থেকেই স্থির হয় এই গ্রামের কোনও মেয়ে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি যাবে না।
স্বামীকেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। গ্রামের এই অদ্ভুত রীতির কারণেই অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে নারীদের।
সূত্র: ওড়িশ্যা পোস্ট
আরও পড়ুন: সামনে পাহাড়, পিছনে গভীর খাদ, সরু রাস্তায় গাড়ি ঘুরিয়ে তাক লাগালেন চালক!