নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১:৫৫ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
চট্টগ্রামের বেসরকারি আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের ৮৫ শয্যার করোনা ওয়ার্ডে জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে যেখানে রোগী ছিলো ১২ জন, সেখানে এই সংখ্যা এখন ৫ গুন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ জনে।
করোনা রোগীর এমন সংখ্যা বেড়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও।
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এখানে রোগী বেড়ে গেছে ৪ থেকে ৫ গুন।
রোগী বাড়ার এমন চিত্র চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালেও।
গত ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি জানুয়ারী মাসে শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে ৫৭ গুণ।
শনাক্তের হার ৩৪ গুণ আর মৃত্যু বেড়েছে অন্তত ১৭ গুণ।
গত এক সপ্তাহে মৃত্যুর বেশিরভাগই উপজেলায়।
সংখ্যার হিসাবে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যু কম হলেও শঙ্কা জাগাচ্ছে গ্রাম পর্যায়ে মৃত্যুর হার বাড়ার বিষয়টি।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে জেলায় যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে তার ৭ জনই উপজেলার বাসিন্দা।
অথচ শনাক্তের সংখ্যায় নগরীর মাত্র তিনভাগের একভাগ উপজেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন:
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ কতটা বিপজ্জনক
যেসব উপসর্গে বুঝবেন আপনি ওমিক্রনে আক্রান্ত
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত অবকাঠামো থাকার পরও চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে প্রাণহানি বেড়েছে।
এছাড়া আক্রান্ত হওয়ার পর যথাসময়ে চিকিৎসা না নেয়ায় প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে।
তাই উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের তাগিদ জনস্বাস্থ্যবিদদের।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর দাবি, নগরীর বাসিন্দাদের অনেকের স্থায়ী ঠিকানা উপজেলায় হওয়ায় সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি দেখাচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, আজ শুক্রবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেছেন ১ হাজার ৩৫৪ জন।
এর মধ্যে ৭৩০ জন নগরীর এবং ৬২৪জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ২০৩ জন।
এর মধ্যে ৮৫ হাজার ৫২৪ জন নগরীর এবং ৩১ হাজার ৬৭৯ জন উপজেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন:
ওমিক্রন ও সাধারণ ঠাণ্ডার পার্থক্য বুঝবেন যেভাবে
জেনে নিন ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী অন্যের জন্য কতদিন বিপজ্জনক