নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১:০৩ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আগ্রহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সংস্থাটির রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
তিনি বলেছেন, ‘ইইউ চায় বাংলাদেশে অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমরা বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করছি। কীভাবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। তবে নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষককে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ইইউ।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে চলমান স্থানীয় নির্বাচনে বিরোধীদের ভোট বর্জন চলছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হবার হারও বেশি।
আর উপনির্বাচনসহ অনেক ক্ষেত্রে ভোটার উপস্থিতিও কমে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
এ বাস্তবতায় বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এ বছরটি হবে ঘটনাবহুল বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে প্রস্তুতি এবং সরকারি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর।
বাংলাদেশের নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা পেতে বড় নিয়ামক হবে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন।
এরই মধ্যে বাংলাদেশকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের চিন্তুা-ভাবনা কী সেটি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে র্যাবকে বাদ দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একজন এমপির চিঠি দেয়ার বিষয়ে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘এটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এর সাথে ইইউ’র কোন সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেন, একজন ব্যক্তির অবশ্যই ব্যক্তিগত মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। আমি মনে করি এটিও তাই।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং রাজস্ব বিভাগ আলাদা আলাদাভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এর এক মাস আগে গত বছরের নভেম্বরে র্যাবকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে মিশনের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে চিঠি লিখে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক ১২টি মানবাধিকার সংগঠন।