রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ৯:২৭ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের প্রথম ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে কঠিন করে জিতেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ব্যাট-বলে দাপুটের সাথে জয় তুলে নিয়েছে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
কুমিল্লার টানা জয়ে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেল সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বরিশাল।
আজ মঙ্গলাবর টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৮ রানের সংগ্রহ গড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭ দশমিক ৩ ওভারে ৯৫ রানের গুটিয়ে যায় বরিশাল।
ফলে ৬৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নেয় কুমিল্লা।
১৫৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পাড়েননি বরিশালের ব্যাটাররা।
গুটিয়ে যাওয়ার আগে দলের মাত্র তিনজন ব্যাটার ব্যক্তি ইনিংস দুই অংকের ঘরে নিয়ে যেতে পেরেছেন।
নাজমুল হাসান শান্ত ৩৬, তৈহিদ হৃদয়ের ১৯ এবং নুরুল হাসানের ১৭ রান ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন সিঙ্গেল ডিজিটের ঘরে।
দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান করেন ৪ বলে ১ রান।
বরিশালের ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতার মিছিলে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন কুমিল্লার নাহিদুল ইসলাম।
চার ওভার বল করে এক মেডেনে মাত্র ৫ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৩টি উইকেট।
দলের জয়ে বল হাতে এমন পারফর্ম করায় ম্যাচ সেরা পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।
নাহিদুল ছাড়া শহিদুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম এবং করিম জানাম দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়ার চেষ্টা করেন কুল্লার দুই ওপেনার দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যামেরুন ডেলপোর্ট ও মাহমুদুল হাসান জয়।
সাকিবের করা প্রথম ওভার থেকে মাত্র ১ রান নেন তারা।
তবে নাঈম হাসানের দ্বিতীয় ওভার থেকে ১৫ রান তুলেন ডেলপোর্ট ও জয়। এর মধ্যে ১টি ছক্কা ও দু’টি চারে ১৪ রান নেন জয়।
সাকিবের করা তৃতীয় ওভারে তিনটি চার মারেন ডেলপোর্ট। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেও বাউন্ডারি আদায় করে নিয়েছিলেন ডেলপোর্ট।
নাইমের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে স্টাম্পড হলে ১৩ বলে ৪টি চারে ১৯ রাননে থামে ডেলপোর্টের ইনিংস। ৩৩ রানে ভাঙে কুমিল্লার উদ্বোধনী জুটি।
ফাফ ডু-প্লেসিসের মতো অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন।
ডু-প্লেসিসকে ৬ রানে সাকিব এবং ইমরুলকে ১৫ রানে শিকার করেন ব্রাভো।
তবে এক প্রান্ত আগলে, দলের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন জয়।
এতে দলের স্কোর শতরানের কোটা পেরিয়ে যায়।
মাহমুদুল-মোমিনুলের জুটি ভাঙ্গতে ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে সব বোলারকেই ব্যবহার করেন সাকিব।
অবশেষে ১৬তম ওভারে ইংল্যান্ডের বাঁ-হাতি স্পিনার জ্যাক লিন্টট ভাঙেন মাহমুদুল-মোমিনুল জুটি।
৩৫ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৮ রান করেন জয়। চতুর্থ উইকেটে মোমিনুকে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।
সাকিবের করা ১৭তম ওভারে ব্যক্তিগত ১৭ রানে মোমিনুল আউটে দলের স্কোর দাঁড়ায় ১১৭তে।
শেষ দিকে আফগানিস্তানের করিম জানাতের ঝড়ো ২৯ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৮ রান পায় কুমিল্লা।
জানাতের ১৬ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন জানাত।
শেষ দিকে কুমিল্লার দুই উইকেট নিয়ে ইনিংসে সেরা বোলার ব্রাভো। ৩০ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। ২৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস: ২০ ওভারে ১৫৮/৭ (ডেলপোর্ট ১৯, মাহমুদুল ৪৮, ডু প্লেসি ৬, কায়েস ১৫, মুমিনুল ১৭, অঙ্কন ৮, নাহিদুল ০, জান্নাত ২৯, শহিদুল ৫; সাকিব ৪-০-২৫-২, নাঈম ৩-০-৩১-১, তাইজুল ৩-০-২২-০, ব্রাভো ৪-০-৩০-৩, জিয়াউর ২-০-২৭-০, জ্যাক ৪-০-১৮-১)।
ফরচুন বরিশাল: ১৭.৩ ওভারে ৯৫ (সৈকত ০, সাকিব ১, নাজমুল ৩৬, তৌহিদ ১৯, গেইল ৭, নুরুল ১৭, ব্রাভো ০, জিয়াউর ০, জ্যাক ৮, নাঈম ০, তাইজুল ২; মুস্তাফিজ ২.৩-০-২২-১, জান্নাত ৪-০-২৬-২, শহিদুল ৩-০-২২-২, নাহিদুল ৪-১-৫-৩)।
ফল: ৬৩ রানে জয়ী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস