রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা ক্যাম্পাস রাজনীতি

আন্দোলনে উত্তাল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, ভিসির পদত্যাগ দাবি



প্রতিনিধি, সিলেট প্রকাশের সময় :১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১:০৫ : অপরাহ্ণ

উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন শুরু করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

তাদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।

পুলিশের লাঠিপেটা, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনায় শিক্ষকসহ শতাধিক ছাত্রছাত্রী আহত হওয়ার প্রতিবাদে আজ সোমবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।

এবার উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও হল ছাড়ার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে উল্টো হলগুলোর প্রশাসনিক কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

‘যেই ভিসি গ্রেনেড ছোড়ে সেই ভিসির পদত্যাগ চাই, যেই ভিসি ছাত্র মারে সেই ভিসি চাই না, যেই ভিসি গুলি ছোড়ে সেই ভিসির পদত্যাগ চাই, শিক্ষার্থীর ওপর হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই, সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান এক হও এক হও’-সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে এসব স্লোগানে স্লোগানে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় ও হলের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে থাকলেও এ সময় শিক্ষার্থীদের বাধা দিতে দেখা যায়নি।

আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। আমাদের একদফা দাবি যেই ভিসি আমাদের ওপর হামলা চালাতে পারে সেই উপাচার্যকে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে চাই না। যতক্ষণ না পর্যন্ত উপাচার্য পদত্যাগ না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, হল ছেড়ে দেওয়ার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা আমাদের হল ত্যাগ করব না আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটার পর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার বিকেলে তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়ায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা।

পরে উপাচার্যকে পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এসময় টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে আইআইসিটি ভবন থেকে উপাচার্যকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় শিক্ষকসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

এই ঘটনার পরেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

সেইসঙ্গে সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়ার কথাও জানানো হয়।

এদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফিজিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো রাশেদ তালুকদারকে প্রধান করে আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর