প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ প্রকাশের সময় :১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:১৯ : পূর্বাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নিজের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে নগরীর পশ্চিম দেওভোগ এলাকায় শিশুবাগ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ভোটদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই আশাবাদের কথা জানান।
আইভী বলেন, ‘আমি শতভাগ নিশ্চিত, নৌকা জয়যুক্ত হবেই হবে।’
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জবাসী আমাকেই বেছে নিয়েছে। ইতিমধ্যে তারা নির্ধারণ করে ফেলেছে কাকে ভোট দেবে। আইভীর জয় হবেই হবে, গণজোয়ারের জয় হবেই হবে।’
ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ জানিয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ এখনো ঠিক আছে। আমি জানি না একটু পরে কী হবে। আমি বলবো, ভোট দিতে দেওয়া হোক সবাইকে। যেখানে স্লো আছে সেখানে দ্রুত করা হোক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন সহযোগিতা করে। আমি শুধু আমার কথা বলছি না। সবার কথাই বলছি। সহযোগিতা করলে যেটা হবে সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেবো।’
আরও পড়ুন: প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের আচরণ ঝুঁকিপূর্ণ : তৈমূর
স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, সব জায়গায় হাতির এজেন্ট আছে। বরং আমার এজেন্ট বিভিন্ন জায়গায় ছিল না। আমি চাই সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।’
এর আগে সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মোট ওয়ার্ড ২৭টি। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদরে ১৮টি ও বন্দর উপজেলায় ৯টি।
মোট ভোটার পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১। ৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৯২টি।
নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৭ প্রার্থী। সংরক্ষিত ৯টি নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৩৪ ও ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৪৮ জন।
মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হলেও আওয়ামী লীগ ছাড়া বিএনপির ধানের শীষ ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক এই ভোটে অনুপস্থিত।
কিন্তু, বিএনপির দলীয় পদ থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া তৈমূর আলম খন্দকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না শামীম ওসমান
২০১১ সালের নির্বাচনে শামীম ওসমানকে এক লাখের বেশি ভোটে হারিয়ে দেশের প্রথম নারী মেয়র হয়েছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
এরপর ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াতকে ৮০ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করেন।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমূর আলম খন্দকার তাদের প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আর সন্দেহের কথা বলেছেন; বলেছেন আত্মবিশ্বাসের কথাও।
তারা দুজনই বলেছেন, তিনিই জিতবেন লাখো ভোটের ব্যবধানে। কিন্তু, তাদের সে কথা কি শুধু কথার কথা, না-কি বাস্তবতা, তা আজ নিরূপণ করবে নারায়ণগঞ্জবাসী।
আজ রাতেই জানা যাবে নির্বাচনের ফল, জানা যাবে কে হাসবেন বিজয়ের হাসি।