রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:১৬ : অপরাহ্ণ
পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ধীরে ধীরে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। ঢাকার অদূরে পূর্বাচলের স্থায়ী ভেন্যু বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ আয়োজনে প্রথমবারের মতো বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আগে এই মেলা হতো রাজধানীর আগারগাঁওয়ে।
কুড়িল বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড থেকে পূর্বাচল বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের দুরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। রাস্তা ফাঁকা থাকলে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচলে মেলায় পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে ৩৫-৪০ মিনিট। আর যানজট থাকলে দুই ঘণ্টাও লাগতে পারে বাণিজ্য মেলায় পৌঁছাতে। তাই হাতে সময় নিয়ে বের হওয়া ভালো। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গেলে পার্কিংয়ের ঝামেলায় পড়তে হবে না। কারণ যথেষ্ট জায়গা আছে পার্কিংয়ের জন্য।
মেলার স্থান এবার একটু দূরে হওয়ায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বিআরটিসির ডাবল ডেকার ৩০টি লাল বাসের ব্যবস্থা করেছেন আয়োজকরা।
বাসে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে জনপ্রতি ৪০ টাকা। নামতে হবে কাঞ্চন ব্রিজে। সেখান থেকে ১০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে যেতে হবে। পার্কিংয়ের জন্য কেন্দ্রের পাশেই রাজউকের পানির প্ল্যান্ট ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানে রাখা যাবে এক হাজার গাড়ি।
সেন্টারের দোতলা পার্কিং বিল্ডিংয়ে রাখা যাবে ৫০০টি গাড়ি। এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনের খোলা জায়গায় রাখা যাবে আরও এক হাজার গাড়ি।
সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে বাণিজ্য মেলা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
এবার মেলার প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা আর শিশুদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নানা চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার হাতছানি নিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিন বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিদেশে করোনার দাপটে এ বছর মেলায় স্টল কিছুটা কমেছে। এবারের মেলায় থাকছে ১১টি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের স্টল। ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইরান, তুর্কিসহ আশপাশের দেশগুলো থেকে আসছেন ব্যবসায়ীরা। মেলায় সবমিলিয়ে থাকছে প্রায় ২২৫টি স্টল।
এবারের মেলায় প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে আছে দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া, জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য।
এ ছাড়াও পাবেন স্পোর্ট গুডস, স্যানিটারি ওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে গতবছর বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।
ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি বাণিজ্য মেলার জন্য হস্তান্তর করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। গত ২১ অক্টোবর প্রদর্শনী কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেন্টারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা।
১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অস্থায়ী জায়গায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল।
আরও পড়ুন:
বিধিনিষেধের মধ্যেও চলবে বাণিজ্য মেলা
বাণিজ্য মেলা ঘিরে ফ্ল্যাট বাণিজ্য, ৫ হাজার টাকার ভাড়া এখন ৪০ হাজার!