নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:৫২ : পূর্বাহ্ণ
নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়ের বে ওভালে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলায় প্রথম সেশন রাঙিয়েছেন বাংলাদেশের বোলারেরা।
মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিনঘূর্ণিতে প্রথম সেশনেই ৩২৮ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
এরপর ব্যাট করতে নেমে পরের দুই সেশনও নিজেদের করে নিয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ।
ব্যাটে-বলের দাপটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা পোশাকে চমৎকার দিন পার করলো মুমিনুল হকের দল।
আজ রোববার প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দুই উইকেটে ১৭৫ রানে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
যেখানে প্রথম ইনিংসে কিউইদের থেকে এখনো ১৫৩ রানে পিছিয়ে টাইগাররা। হাতে আছে ৮ উইকেট।
দিন শেষে আজ ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। তার সঙ্গে ৮ রানে ব্যাট করছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
এর আগে বে ওভালে দিনের প্রথম সেশনে নিউজিল্যান্ডকে আজ ৩২৮ রানেই অলআউট করে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২২ রান করেছেন ডেভন কনওয়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেছেন হেনরি নিকোলস।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে নিউজিল্যান্ডকে থামাতে মূল কাজ করেছেন মিরাজ। গতকাল প্রথম দিন বল হাতে নিষ্প্রাণ থাকা মিরাজ আজ একাই নিয়েছেন তিনটি উইকেট।
সমান ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার শরিফুল ইসলামও। অধিনায়ক মুমিনুল হক পেয়েছেন দুটি উইকেট। আর ইবাদত পেয়েছেন একটি উইকেট।
দ্বিতীয় দিনের শুরুর দিকেই ফেরেন রাচিন রবীন্দ্র। ১৮ বলে ৪ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে সাদমান ইসলামকে ক্যাচ দেন রাচিন।
স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্রের মত দ্রুতই (৬ রান করে) আউট হন পেস বোলিং অলরাউন্ডার কাইল জেমিসন, জেমিসনকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ।
কিউইদের থামিয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয় ভালোই করেন।
কিন্তু সে ছন্দ থামে দলীয় ৪৩ রানে। ১৯তম ওভারে ওভারে সাদমানকে নিজের শিকার বানান ওয়্যাগনার। ৫৫ বলে ২২ রান নিয়ে ফেরেন সাদমান।
সাদমান ফিরলেও খুব একটা সমস্যা হয়নি বাংলাদেশের।
দ্বিতীয় উইকেটেই হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও জয়। দুই ব্যাটার মিলে সামলেছেন শুরুর ধাক্কা। দুজনে থিতু হয়ে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি।
দিনের ৫১তম ওভারে রাচিন রবীন্দ্রর বলে ছক্কা মেরে অর্ধশতকে পৌঁছান শান্ত। হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করতে তার লেগেছে ৯০ বল।
এর কিছুক্ষণ পর রবীন্দ্রর বলেই সিঙ্গেল নিয়ে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক স্পর্শ করেন জয়।
অবশ্য শান্তর চেয়ে কিছুটা সাবধানী ব্যাটিং করেছেন জয়। অর্ধশতক ছুঁতে তার লেগেছে ১৬৫ বল।
শান্ত-জয়ের জুটি লম্বা সময় ধরে কিউই পেসারদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৫৮তম ওভারে অবশেষে ওই জুটি ভাঙেন ওয়্যাগনার।
উইল ইয়ংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে শান্তকে বিদায় করেন তিনি তিনি।
১০৯ বলে সাত বাউন্ডারি এক ছক্কায় ৬৪ রান করে ফেরেন শান্ত। তাঁর বিদায়ে ভাঙে ১০৪ রানের জুটি।
শান্ত ফিরলে অধিনায়ক মুমিনুলের সঙ্গে দিনের বাকি অংশ পার করে দেন জয়।
ব্যাটিংয়ে কিছুটা সাবধানী হলেও বেশ দায়িত্বের সঙ্গে ব্যাট করে যান মাত্র নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: (আগের দিন ২৫৮/৫) ১০৮.১ ওভারে ৩২৮ (ল্যাথাম ১, ইয়ং ৫২, কনওয়ে ১২২, টেইলর ৩১, টম ব্লান্ডেল ১১, নিকোলস ৭৫, রাচিন ৪, জেমিসন ৬, সাউদি ৬, ওয়্যাগনার ০, বোল্ট ৯*; তাসকিন ২৬-৭-৭৭-০, শরিফুল ২৬-৭-৬৯-৩, ইবাদত ১৮-৩-৭৫-১, মিরাজ ৩২-৯-৮৬-৩, শান্ত ২-০-১০-০, মুমিনুল ৪.১-০-৬-২)।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬৭ ওভারে ১৭৫/২ (সাদমান ২২, মাহমুদুল ৭০*, শান্ত ৬৪, মুমিনুল ৮*; সাউদি ১৫-২-৪১-০ , বোল্ট ১৪-৫-৩৭-০, জেমিসন ১৩-৪-৩৫-০ , ওয়্যাগনার ১৬-৫-২৭-২, রাচিন ৯-১-২৬-০)।