নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১২:৫১ : অপরাহ্ণ
ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে চালু হয়েছে ঢাকা নগর পরিবহন।
কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত প্রায় ২৭ কিলোমিটার রুটে ঢাকা নগর পরিবহন সার্ভিসে বিআরটিসির ৩০টি ডাবল ডেকারসহ ৫০টি বাস চলবে।
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা নগর পরিবহন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সচিবালয় থেকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ধীরে ধীরে এ সেবার বিস্তার হবে। আরও নতুন রুট যুক্ত হবে। রাজধানী ও আশেপাশের এলাকার জন্য ৪২টি রুট করার পরিকল্পনা আছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে এবার নিয়ন্ত্রণে আসছে রিকশা
জানা গেছে, কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত রুটে ঢাকা নগর পরিবহনে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া পড়বে দুই টাকা ১৫ পয়সা।
সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা আর সর্বোচ্চ ভাড়া ৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কেউ যদি এক স্টেশন থেকে ওঠে পরের স্টেশনে নামে, তাহলে তাকে ১০ টাকা ভাড়া দিতে হবে।
ঢাকা নগর পরিবহনে প্রথম দিন থেকেই ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
প্রতিটি বাসের চালক-স্টাফদের নির্দিষ্ট পোশাক থাকবে।
সেইসঙ্গে তাদের আইডি কার্ড ঝোলানো অবস্থায় থাকবে গলায়।
বাস স্টপ সার্ভিস ও যাত্রী ছাউনিগুলো প্রস্তুত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিচয় জানা গেলো সেই আইসক্রিমওয়ালার, যার ভক্ত দেড় মিলিয়ন (ভিডিও)
জানা গেছে, ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে পুরোনো কোনো বাস চলবে না।
এখন এই রুটে যে বাসগুলো চলছে, সেগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারির পর কেনা বাস থাকবে।
বাকি বাসগুলো উঠিয়ে নেওয়া হবে। এর সঙ্গে নতুন বাস যোগ হবে।
সব মিলিয়ে এই রুটে ৫০টি বাস চলাচল করবে। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
জানা যায়, ঢাকার গণপরিবহনের মালিক দুই হাজারের বেশি। ঢাকা ও আশপাশে দুই শতাধিক রুটে বাস চলাচল করে।
যাত্রী তোলার জন্য এক বাসের চালক অন্য বাসের সঙ্গে পাল্লায় লিপ্ত হন। এতে দুর্ঘটনা বাড়ে।
এই ব্যবস্থা পরিবর্তনে ২০০৪-এ ঢাকার জন্য করা ২০ বছরের পরিবহন পরিকল্পনায় ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ বা বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজ চালু করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিশেষ এই ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হচ্ছে লক্কড়ঝক্কড় বাস তুলে নেওয়া। সহজ শর্তের ঋণে নতুন বাস নামানো।
বাস চলবে পাঁচ-ছয়টি কোম্পানির অধীন।
মালিকেরা বিনিয়োগের হার অনুসারে লভ্যাংশ পাবেন।
আরও পড়ুন: মাত্র ৬০ টাকায় কোটিপতি ভ্যানচালক ফজলে মিয়া