প্রতিনিধি, বরিশাল প্রকাশের সময় :২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ২:২৮ : অপরাহ্ণ
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ।
লঞ্চের তৃতীয় তলা থেকে লাফিয়ে দোতলায় নেমে প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি। তবে পা ভেঙে গেছে তার স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার।
এই দম্পতি ওই লঞ্চের ভিআইপি কেবিনের নীলগিরির যাত্রী ছিলেন। তারা ঢাকা থেকে ফিরছিলেন।
ইউএনও মুজাহিদ গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি ঢাকায় দাপ্তরিক কাজ সেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে লঞ্চে ওঠেন। রাত ৩টার দিকে লঞ্চের অন্য যাত্রীদের চিৎকারে ঘুম ভাঙে।
তিনি বলেন, ‘তখন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যাই। তড়িঘড়ি করে রুম থেকে বের হয়ে লঞ্চের সামনে যাই। লঞ্চটি এ সময় সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ছিল। অনেককেই নদীতে লাফিয়ে পড়তে দেখা গেছে।’
মুজাহিদ বলেন, ‘আমরাও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন লঞ্চ থেকে লাফ দিই। কোথায় পড়ছি তা জানি না। তখন তৃতীয় তলা থেকে দোতলায় পড়ে যাই। এ সময় উম্মুল ওয়ারার ডান পা ভেঙে যায়।’
পরে স্থানীয়রা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানান ইউএনও।
ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬