রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ৮:৪৫ : অপরাহ্ণ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (দুবাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল হুসেইনের বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার রায় ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ হাইকোর্ট।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বরা হয়েছে, রায়ে সাবেক স্ত্রী ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের জন্য আমিরাতি প্রধানমন্ত্রীকে ৫০ কোটি পাউন্ড পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ পাঁচ হাজার ৬৮০ কোটির টাকার বেশি।
যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় বিচ্ছেদ মামলা বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
আরও পড়ুন: মাত্র ৬০ টাকায় কোটিপতি ভ্যানচালক ফজলে মিয়া
প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়, জর্ডানের সাবেক রাজা হুসেইনের কন্যা ৪৭ বছর বয়সী প্রিন্সেস হায়াকে এককালীন ২৫ কোটি ১৫ লাখ পাউণ্ড দিতে বলেছে হাইকোর্ট।
প্রিন্সেস হায়া ২০০৪ সালে শেখ মোহাম্মদকে বিয়ে করেন। হায়া শেখ মোহাম্মদের ষষ্ঠ এবং কনিষ্ঠতম স্ত্রী।
আদালত রায় বলেছেন ,প্রিন্সেস হায়ার দুই সন্তানের প্রত্যেককে প্রতিবছর ৫৬ লাখ পাউণ্ড দিতে হবে এবং তা ২৯ কোটি পাউণ্ডের একটি গ্যারান্টি দিয়ে সুরক্ষিত করা থাকবে।
এই দুই সন্তানের মধ্যে এক কন্যার বয়স ১৪ বছর এবং পুত্রের বয়স নয় বছর।
প্রিন্সেস হায়ার ব্রিটেনে দুটি বাড়ি রয়েছে এবং এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের খরচের কথাও রয়েছে রায়ে।
আরও পড়ুন: ৪২ কোটি টাকার মুকুট মাথায়, আরও যেসব সুবিধা পাচ্ছেন বিশ্বসুন্দরী হারনাজ
এই বাড়িগুলোর একটি লন্ডনের কেনসিংটন প্রাসাদের পাশেই এবং অপরটি সারে কাউন্টির এগহ্যামে।
এছাড়া রায়ে প্রিন্সেসের নিরাপত্তার ব্যয়, ছুটি কাটানোর খরচ, একজন নার্স ও আয়ার বেতন ও আবাসনের খরচ, পরিবারের জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ি এবং তার পালিত ঘোড়া ও অন্যান্য প্রাণীর খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রিন্সেস হায়া ২০১৯ সালে তার দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ব্রিটেনে পালিয়ে যান।
তিনি বলেন, শেখ মোহাম্মদ এর আগে তার দুই মেয়ে শেখ লতিফা ও শেখ শামসাকে অপহরণ করিয়েছেন, ফলে তিনি এখন তার নিজের জীবন নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে আছেন।
আরও পড়ুন: পরিচয় জানা গেলো সেই আইসক্রিমওয়ালার, যার ভক্ত দেড় মিলিয়ন (ভিডিও)
প্রিন্সেস হায়া তার এক ব্রিটিশ দেহরক্ষী সাবেক সেনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন বলে জানার পর শেখ মোহাম্মদ ‘তুমি বেঁচে ছিলে, তুমি মরে গেছো’ নামে একটি কবিতা প্রকাশ করেন।
যাতে তাকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অনুমান করা হয়। তিনি বলেন, ব্রিটেনে আসার পরও তিনি হুমকি পেয়েছেন।
এ বছর হাইকোর্ট এক রুলে বলেছে, শেখ মোহাম্মদ অবৈধভাবে প্রিন্সেস হায়া, তার দেহরক্ষী এবং আইনজীবী দলের ফোন হ্যাক করিয়েছিলেন। এই জন্য ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করা হয়।
শেখ মোহাম্মদ বলেন, তিনি কিছু হ্যাক করেননি এবং কোনো নজরদারি চালানো হয়নি। প্রিন্সেসের কোনো ক্ষতি করার ইচ্ছে তার নেই।
আরও পড়ুন: এবার ব্যাংকের মালিক হচ্ছেন সাকিব আল হাসান