নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ৩:৪৮ : অপরাহ্ণ
কোনো দেশ উন্নতি করলে তার শত্রু ও চাপ দুটোই বাড়ে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘যখনই কোনো দেশ উন্নতি করতে থাকে, তার শত্রু বাড়ে, চাপও বাড়ে। আপনি যখন ভালো করেন, অনেক সহকর্মীই শত্রু হয়ে দাঁড়ায়। আপনি বেশি ভালো করেন, কিছু শত্রুর দেখা পাবেন।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এক আলোচনা শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিচ্ছে কি না-এ প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারিভাবে বিশেষ কিছু করেনি। তারা তাদের কাজ করছে, আর বাংলাদেশ বাংলাদেশের কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: মাত্র ৬০ টাকায় কোটিপতি ভ্যানচালক ফজলে মিয়া
বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় দণ্ডিত পলাতক দুই আসামিসহ এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এভাবে পুরস্কার ঘোষণা করে সফল হয়েছে। অনেক দেশে যখন তথ্য পাওয়া যায় না, আমি শুনেছি, ওসামা বিন লাদেনের ক্ষেত্রেও একইভাবে হয়েছে। এ পলিসি, কৌশল অনেক সময় সফল হয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেমন বঙ্গবন্ধুর তিন পলাতক খুনি, যাদের অবস্থান জানি না, তাদের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছি। কেউ যদি সঠিক তথ্য দিতে পারেন, অবশ্যই সরকার তাদের পুরস্কার দেবে। তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) এ রকম দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: পরিচয় জানা গেলো সেই আইসক্রিমওয়ালার, যার ভক্ত দেড় মিলিয়ন (ভিডিও)
আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমি মামলাটা (অভিজিৎ হত্যা) পুরোপুরি ফলো করিনি। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ নিয়ে ভালো বলবেন। শুনেছি, ওই মামলায় যাদের শাস্তি হয়েছে, তাদের দুজন পলাতক। তারা কোথায় আছেন, কোন দেশে আছেন, আমরা তা জানি না। হয়তো মার্কিন এ উদ্যোগের (পুরস্কার ঘোষণা) ফলে আমাদের পলাতক খুনিদের ধরার যে প্রচেষ্টা, তাতে সহায়ক হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ চাপ অনুভব করছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু লোক আছেন, যারা ধারাবাহিকভাবে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছেন। তারা মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন, মিথ্যা ভিডিও বানাচ্ছেন। আর আপনারা যেগুলো বলেন, সেগুলো ওরাও (যুক্তরাষ্ট্র) বলে। বাংলাদেশে একজন মরলে বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়, আর যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেলে বলা হয় দায়িত্ব পালনের সময় মারা গেছে। আমাদের দেশে একজন মরলেই সংবাদপত্র বড় হরফে লিখে বিনা বিচারে হত্যা। ওই সব এখন তারা ফলো করে। আপনাদের কাজগুলো নিয়েই যেগুলো তাদের দরকার, সেগুলো করে।’
আরও পড়ুন: এবার ব্যাংকের মালিক হচ্ছেন সাকিব আল হাসান
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এ দেশে কিছু লোক আছেন, যারা দেশের উন্নয়নে খুব সন্তুষ্ট নন। একদল লোক আছেন, যারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ এত ভালো করে ফেলছে কেন! সুতরাং তারা এটা পছন্দ করেন না। খুব সম্ভবত তারা তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) কাছ থেকে টাকা পান। তারা তথ্যগুলো ঠিকমতো দেন না, মিথ্যা তথ্য দেন। আর অনেকে তা বিশ্বাস করেন। সেখানে আমাদের কিছু কাজ করার সুযোগ আছে।’
আরও পড়ুন: ৪২ কোটি টাকার মুকুট মাথায়, আরও যেসব সুবিধা পাচ্ছেন বিশ্বসুন্দরী হারনাজ