নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ৯:০৮ : অপরাহ্ণ
র্যাবের সাবেক ও বর্তমান ডিজিসহ সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের এক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে ফোন করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় দুজনের মধ্যে ফোনালাপ হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূও হয়েছে।
জানা যায়, অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যখন আব্দুল মোমেনকে তার মোবাইলে ফোন করেন, তখন তিনি বঙ্গভবনে ছিলেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও নৈশভোজে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গভবনে থাকাকালেই ফোনটি ধরেন।
আরও পড়ুন: র্যাবের বর্তমান ও সাবেক ডিজিসহ ৬ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় গত পাঁচ দশক ধরে দুই দেশের চলমান সুসম্পর্ক বজায় রেখে ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত পোষণ করেন।
সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বুধবার সকালে জানানো হয় অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চান।
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে যা বললো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে র্যাব এবং এই বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক সাতজন কর্মকর্তার ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদও রয়েছেন, যিনি এখন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং র্যাব ও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা ব্যাপক আলোচনা তৈরি করে।
এ ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের অসন্তোষের কথা জানায়।
আরও পড়ুন: অযৌক্তিক কারণে নিষেধাজ্ঞা, পুলিশ বিচার বহির্ভূত হত্যা করে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী