নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১:০১ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম নগরীতে খালে তলিয়ে যাওয়া শিশু কামালের (১০) মরদেহ তিনদিন পর উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর শুলকবহর এলাকায় মির্জা খালে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ শিশু কামালের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
পাঁচলাইশ থানার এসআই বাবু মিয়া রাজনীতি সংবাদকে জানান, স্থানীয়রা খালে ভাসমান অবস্থায় একটি শিশুর মরদেহ পাওয়ার খবর দেয়। মরদেহটি দুইদিন আগে নিখোঁজ হওয়া শিশুটির কিনা তা শনাক্ত করতে পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। এরপর মরদেহটি নিখোঁজ কামালের বলে শনাক্ত করেছেন তার বাবা আলী কাউছার।
জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় চশমা খালের কাছে খেলছিল কামাল ও রাকিব।
এসময় খালের পানিতে একটি খেলনা ভাসতে দেখে সেটি তুলতে তারা দুজন খালে নামে।
এই খালের গভীরতা ১০-১২ ফুট হলেও আবর্জনায় ঠাসা। খালে নামলে স্রোতে ভেসে যায় কামাল ও রাকিব।
এসময় একটি দেয়ালের সাথে ধাক্কা লেগে রাকিব পাড়ে উঠে আসতে পারলেও তলিয়ে যায় কামাল।
প্রথমে ভয়ে এ নিয়ে কাউকে কিছু বলেনি রাকিব। পরে কামালকে খোঁজাখুঁজি শুরু হলে এসব তথ্য প্রকাশ করে সে।
কামালের বাবা আলী কাউসারের দাবি, সোমবারই কামালের নিখোঁজ থাকার ঘটনা স্থানীয় টহল পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। তবে তারা তাকে গ্রাহ্য করেনি। ফলে তিনি নিজেই কামালকে খুঁজতে থাকেন।
পরদিন ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। এরপর মঙ্গলবার বিকেল থেকে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।
শেষ পর্যন্ত আজ দুপুরে শুলকবহর এলাকায় মির্জা খালে কামালের লাশ ভেসে উঠে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকায় রাস্তার পাশে পা পিছলে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সেহেরিন মাহবুব সাদিয়া। নিখোঁজের পাঁচ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া গত ২৫ আগস্ট খালে পড়ে তলিয়ে যান সালেহ আহমদ নামের একজন ব্যবসায়ী। যার খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদনের সময় বাড়লো