রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১২:৪৫ : অপরাহ্ণ
সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দী মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সামরিক আদালত।
তার বিরুদ্ধে চলমান অনেকগুলো মামলার মধ্যে একটিতে রায় দেওয়া হলো।
আজ সোমবার সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সু চিকে ভিন্নমত উসকে দেওয়ার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইনের অধীনে কোভিড নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ রয়েছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই নেত্রী।
গত বছর অনুষ্ঠিত দেশটির জাতীয় নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে উল্লেখ করে গত ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখলে নেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
ওই ভোটে অং সান সুচির দল এনএলডি বিপুল ভোটে জয় লাভ করেছিল।
অভ্যুত্থানের পর গ্রেপ্তার করা হয় অং সান সু চিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের।
দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং জনরোষে উসকানি দেওয়াসহ নানাবিধ অভিযোগে ৭৬ বছর বয়সী সু চিকে গৃহবন্দী রাখা হয়েছে এবং অনেকগুলো মামলা করা হয়েছে।
এসব মামলার মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ এবং সহিংসতায় উস্কানি দেয়ার মতো অভিযোগ। সু চির বিরুদ্ধে আরও যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো প্রমাণিত হলে তার ১০২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, সেনাবিরোধী আন্দোলনে দেশটিতে ১ হাজার ২০০’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি।
আরও পড়ুন:
তালেবান প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীদের বেতন কত জানেন
কফিন থেকে মৃত বন্ধুকে বের করে বাইক ভ্রমণ!
সাপ মারতে গিয়ে পুড়িয়ে ফেললেন ৮ কোটি টাকার বাড়ি!