নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ৭:০০ : অপরাহ্ণ
খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগও থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বেঁচে আছেন বলেই সীমান্তে শত্রুরা এখনো ভয় পায়। তিনিই এদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি না থাকলে গণতন্ত্র থাকবে না।’
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেগম জিয়া জনগণের সঙ্গে থেকে লড়াই করে, রাজপথে সংগ্রাম করে এবং দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আবার ২০০৮ সাল থেকে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে এখনও তিনি কারা নির্যাতন ভোগ করছেন। বাংলাদেশে কয়জন নেতা এখন আছেন, যারা এতো ত্যাগ স্বীকার করেছেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সেই নেত্রীকে আপনারা (সরকার) বন্দি করে রেখেছেন। কারণ আপনারা জানেন, তাকে যদি বন্দি করে রাখা না যায়, তাকে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য যদি বিদেশে পাঠানো না যায় এবং জীবন থেকে যদি চলে যান তাহলে আপনার পথের কাঁটা দূর হবে। কিন্তু তা হয় না।’
সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেন নাই, তিনি বাংলাদেশের ত্যাগ স্বীকার করা নেত্রী, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, বিদেশে চিকিৎসা করতে দিন, অন্যথায় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে, সেই আন্দোলন হবে আপনাদের পতনের আন্দোলন।’
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এদেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন চালু রাখতে চাইলে এবং স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বসহ আমাদের সমস্ত অধিকার যদি বহাল রাখতে চাই, তাহলে অবশ্যই বেগম খালেদা জিয়াকে এই রাজনীতিতে আবারও ফিরিয়ে আনতে হবে এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক ড.আসাদুজ্জামান রিপন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ১০-১২ মিনিটের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ কোথা থেকে এলো, প্রশ্ন কাদেরের